চট্টগ্রাম থেকে: রাত পোহালে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটা শুরু হবে সকাল ১১টায়। সিরিজের আগে ২০১৯ সালের এক টেস্ট জয় থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে এই মাঠেই যে টেস্টে হারিয়ে দিয়েছিল আফগানরা। যেটা কিনা আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম জয়।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহীদি বলছিলেন, ২০১৯ সালের সেপ্টম্বরে চট্টগ্রামে পাওয়া সেই টেস্ট জয়টাই এবারের ওয়ানডে সিরিজের আগে তাদের বড় অনুপ্রেরণা।
আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই আমরা সেখান (বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জয়) থেকে শুরু করতে চাই। এই ভেন্যুতে আমাদের দারুণ স্মৃতি আছে এবং ওই জয় থেকে আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আগামীকাল শুরুর চেষ্টা করব।’
রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে গড়া আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণকে মনে করা হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিন আক্রমণ। এদিকে, উপমহাদেশের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের উইকেটগুলোও বেশ স্পিন সহায়ক। শাহীদিকে আত্মবিশ্বাসী করছে এটিও।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভালো স্পিন বোলিং আক্রমণ আছে এবং বাংলাদেশে উইকেট স্পিন বোলিং সহায়ক। এটা খুব ভালো, তাই আমি আত্মবিশ্বাসী।’
ফরচুন বরিশালের হয়ে এবারের বিপিএলে দারুণ বোলিং করেছেন মুজিব-উর রহমান। মুজিবের এই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে বলে মনে করছেন শাহীদি, ‘এটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে। আমরা বাংলাদেশে অনেক ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছি। সম্প্রতি বিপিএলে আমাদের খেলোয়াড়রা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। মাঠ ও পিচ সম্পর্কে জানতে সহায়ক হবে এটি। আমাদের শক্তি, খেলোয়াড় ও আমার দল নিয়ে আমি বেশি ভাবি। আমাদের ভালো একটি দল আছে। প্রতি বিভাগ নিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা আমাদের সেরাটা করব।’
এই সিরিজে আফগানিস্তানের হেড কোচ স্টায়ার্ট ল। যিনি কিনা বাংলাদেশের সাবেক কোচ। ল নিশ্চয় জানেন সাকিব-তামিম-মুশফিকদের শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা। বিষয়টি আফগানিস্তানকে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন শাহীদি। তিনি বলেন, ‘তিনি (ল) এখানে কোচিং করিয়েছেন এবং উইকেট ও মাঠ সম্পর্কে সব তার ভালো জানা। তিনি আমাদের যে নির্দেশ দিচ্ছেন, আমরা তা মানব। এটা হয়তো পার্থক্য গড়ে দিবে।’