সিডন্সের আগমন ডমিঙ্গোর জন্য ‘ভালো খবর’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৯
চট্টগ্রাম থেকে: জেমি সিডন্স দায়িত্ব নেওয়ার আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় ছিলেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর স্বদেশি প্রিন্সকে পছন্দ করে এনেছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। এখন সেই প্রিন্সের জায়গাতেই বসেছেন সিডন্স। ডমিঙ্গোর জন্য বিষয়টি অস্বস্তির কিনা সেটা এক প্রশ্ন। ডমিঙ্গো অবশ্য বললেন, সিডন্সের আগমন বাংলাদেশ ক্রিকেটে জন্য ভালো খবর।
২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সিডন্স। তরুণ সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ সামলেছিলেন তিনি। ডিসেম্বরে সেই সিডন্সকেই ব্যাটিং কোচ হিসেবে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিনয়র ক্রিকেটারদের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়েই সিডন্সকে ফিরিয়েছে বিসিবি। ডমিঙ্গোর মনে হচ্ছে, ক্রিকেটারদের তার চেয়ে বেশি চিনেন সিডন্সই!
শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন বাংলদেশি ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখী হলেন ডমিঙ্গো।
সিডন্স প্রশ্নে তিনি বলেন, ’দেখুন, তিনি অনেক অভিজ্ঞ এক কোচ। বিশ্বজুড়ে কোচিং করিয়েছেন। এখানকার সিস্টেম তিনি জানেন, অনেক খেলোয়াড়কে চেনেন। হয়তো আমার চেয়েও ভালো জানেন। কারণ, আগেও তিনি এখানে ছিলেন। তাই তাকে পেয়ে ভালো লাগছে। কোচিং স্টাফে তিনি অনেক অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
সম্প্রতি টিম ডিরেক্টর হিসেবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সাবেক এই অধিনায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়াতেও ভালো হয়েছে বলেছেন ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘আমার আর বোর্ডের যোগসূত্র হচ্ছেন চাচা (খালেদ মাহমুদ সুজন)। আমরা দল নির্বাচন, একাদশ, টস বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে কী ভাবছি—এসব ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে চাচা যোগাযোগ করেন। আমাকে তাহলে বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় না। আমি আমার কাজেই ব্যস্ত থাকি। আমি এসব নিয়ে ভাবতেই চাই না। সেদিক থেকে চাচা থাকায় আমার অনেক সুবিধা হয়। তিনি আমার চাপ কমিয়ে দিচ্ছেন।’