সাকিব ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা উচিত: জালাল ইউনুস
৮ মার্চ ২০২২ ২০:৩১
সাকিব আল হাসান ইস্যুতে বেশ সরগরম দেশের ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে তারকা অলরাউন্ডার গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই মুহুর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তুত নয় তিনি। ক্রিকেট বোর্ডসহ এমন মন্তব্য মানতে পারছেন না অনেকেই। বিভিন্ন কারণে এর আগেও জাতীয় দলের সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস মন্তব্য করেছেন, সাকিবের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট সিরিজ থেকে আগেই ছুটি চেয়ে রেখেছিলেন সাকিব। একই সময়ে আইপিএল হবে বলে টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। কিন্তু পরে আইপিএলে দল পাননি তিনি। যেহেতু আইপএল খেলা হচ্ছে না সেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে অসুবিধা নেই! সাকিবের সঙ্গে কথা বলেই তাকে রেখে সিরিজের জন্য ওয়ানডে ও টেস্ট দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। কিন্তু একদিন আগে ‘এখন খেলতে প্রস্তুত নয়’ বলেন সাকিব। এমন কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবেই পছন্দ হয়নি বোর্ডের।
অনেকদিন ধরেই টেস্ট বেছে বেছে খেলছেন সাকিব। বাংলাদেশের সর্বশেষ ২৫ টেস্টের মাত্র ৮টিতে খেলেছেন তিনি। টেস্ট থেকে তার অবসরের গুঞ্জনও উঠেছিল।
গত আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, সাকিব কোন ম্যাচ খেলবেন এবং কোন ম্যাচ খেলবেন না সেটা আগে থেকেই জানতে চায় বিসিবি। যাতে পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়। অন্তত এক বছরের পরিকল্পনা জানতে চায় বিসিবি। এর মধ্যেই হঠাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে ছুটি চেয়ে বসেন সাকিব।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) এ বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেন, সাকিব ইস্যুতে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের কোনো একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যেটাই হবে- হ্যাঁ কিংবা না। যাতে আমরা পরিকল্পনা করতে পারি। এখানে একজন না খেললে আমাদের কিন্তু পরে বিকল্প দিতে হচ্ছে। একজন না খেলায় যাকে বিকল্প দিলাম, সে দেখা যাচ্ছে ভালো করছে। আবার সে ফিরলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটা খেলোয়াড়ের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে কোন সিরিজ খেলবে, কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। কিন্তু সে যখন কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটে খেলার কথা দিয়ে ফেলে, তখন সরানো কঠিন, মুশকিল হয়ে যায়।’
একই প্রশ্নে বিসিবির টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজব বলেছিলেন, ‘এখন ফুলস্টপের সময় চলে এসেছে। যথেষ্ট হয়েছে। আপনি বিসিবিকে চালাতে পারেন না। চাইলেই কেউ বলতে পারে না যে আমি খেলব কিংবা খেলব না। কেউ যদি খেলতেই চায় তাহলে ঠিকমতো খেলতে হবে। যদি খেলতে না চায় তাহলে বলে দিতে হবে। যদি বিরতি চায়, তাহলে একবারে বিরতি নিক। কেউ তাকে আটকাবে না। প্রেসিডেন্টও বলতে চেয়েছিলেন এভাবে। হয়তো বা তিনি একটু আস্তে বলেছেন। আমি একটু জোরে।’