সারাবাংলা ডেস্ক ।।
নেইমার বার্সেলোনা ছাড়ার পরেও আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর মেসির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব অটুট আছে। কিন্তু মেসির সঙ্গে এই দারুণ বন্ধুত্বের শুরুটা কীভাবে হলো? ব্রাজিল সুপারস্টার নিজেই শোনালেন সেই গল্প। ব্রাজিলিয়ান টিভি নেটওয়ার্ক গ্লোবোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার এই বন্ধুত্বের শুরুর গল্প বলেছেন।
২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে বার্সায় যোগ দেন নেইমার। সাক্ষাৎকারে ২৬ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান জানান, কিভাবে মেসি পরামর্শ দিয়ে তাকে সাহায্য করেছিলেন। বয়সে ৪ বছরের বড় মেসির সঙ্গে বন্ধুত্বে স্পেনে নিজের সময়টা তিনি উপভোগ করেছেন।
২১ বছর বয়সে বার্সায় মেসিদের সঙ্গে যোগ দেন নেইমার। ক্যাম্প ন্যু’র মহাতারকাদের ভীড়ে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না তিনি। সেটার প্রভাব পড়েছিল মাঠের পারফরম্যান্সে। এক ম্যাচে ভালো করতে না পারায় বিরতির সময় প্রায় কেঁদেই দিয়েছিলেন নেইমার। সেটা দৃষ্টি এড়ায়নি মেসি। নেইমারের দিকে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন।
নেইমার জানান, ‘শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি যে, এত বেশি তারকাদের সাথে খেলা আপনাকে পিছিয়ে দেবে। আপনাকে বেশ লজ্জাতেও ফেলবে। মেসি দেখেছে আমার কাঁদো কাঁদো অবস্থা। কারণ প্রথমার্ধটা আমার ভালো যায়নি। আমার মন খারাপ দেখে মেসি আমার সাথে কথা বলতে শুরু করে। সে বলে, হতাশ হবে না। তোমাকে তোমার মতোই হতে হবে। তোমার নিজস্ব ফুটবলটা খেলে যাও। ভয় পেয়ো না।’
নেইমার আরও বলেন, ‘মেসির সঙ্গে কথা বলার পর আমি চিন্তা করা বন্ধ করি। আর নিজের খেলাটা খেলতে মুখিয়ে থাকি। এক সময় আমার আত্মবিশ্বাস ফিরতে শুরু করে। আমার সকল চিন্তার অবসান হয় এবং শান্তি খুঁজে পাই। তখন থেকেই মেসির সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্বের শুরু হয়, যা চিরদিনের।’
এ পর্যন্ত পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সার মেসি, রিয়ালের রোনালদো। নেইমার একটিও জিততে পারেননি। কিন্তু মেসি-রোনালদোর সঙ্গে তার নামটাও উচ্চারিত হয়। হয়তো খুব শিগগিরই মেসি-রোনালদোর মতো ব্যালন ডি অর হাতে ছবিতে পোজ দিতে দেখা যাবে ব্রাজিল আইকনকে।
সারাবাংলা/এমআরপি