শ্রীলংকা টেস্টে পেসারদের জন্য ডোনান্ডের দুই মন্ত্র
১২ মে ২০২২ ২১:৪২
দুদিন পর শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে কদিন ধরেই অনুশীলনে ঘাম ঝড়াচ্ছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডকে একটু বেশিই ব্যস্ত দেখা গেল। শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা যখন একটার পর একটা ডেলিভারি ছাড়ছিলেন ডোনাল্ড তখন আম্পায়ারের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে! প্রায় প্রতিটি ডেলিভারির পরই শিষ্যদের কিছু না কিছু বলতে দেখা গেল ডোনাল্ডকে। অনুশীলন শেষে খানিক ধারণা মিলল, শরিফুল, ইবাদতদের কোন বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন পেস বোলিং কোচ। নতুন ও পুরনো বলে পেসারদের দুই ধরনের মন্ত্র দিয়েছেন ডোনাল্ড।
উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের উইকেটেও পেসারদের জন্য বিশেষ কিছু থাকে না। বাড়তি গতি নেই, বাউন্স নেই। এমন উইকেটে পেস বোলিংয়ে সাফল্য পেতে হলে হিসেব করে বোলিং করতে হবে। ডোনাল্ড বললেন, নতুন বলে ‘হট জোন’ খুঁজে নিতে হবে আর পুরনো বলে ধরতে হবে ধৈয- এই দুইয়েই মিলবে সাফল্য।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে এসেছিলেন ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং কিংবদন্তি বলেন, ‘এ ধরনের উইকেটে নতুন বল খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক দিন এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। নতুন বলে আমাদের হট জোন খুঁজে নিতে হবে। সেখানেই লম্বা সময় বোলিং করতে হবে। চোখধাঁধানো বলের দিকে ছুটলে হবে না। বিশাল ইনসুইং ডেলিভারি, আউট সুইং দিয়ে, বিশেষ করে কিছু করার চেষ্টার চেয়ে প্রক্রিয়াটা মানা জরুরি।’
ডোনাল্ডের মতে, পুরনো বলেও পেসারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পুরনো বলে পেসারদের রিভার্স সুইংয়ের ওপর জোর দেওয়ার মন্ত্র দিয়েছেন তিনি, সঙ্গে থাকতে হবে ধৈর্য।
ডোনাল্ড বলেন, ‘আমাদের আজকের অনুশীলনটা ছিল পুরোনো বলের বোলিং নিয়ে। প্রতিটি সেশনে বল রিভার্স সুইং করানো নিয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের পুরোনো বলে খুবই ধৈর্যশীল হতে হবে। সঙ্গে সৃষ্টিশীল হতে হবে। আমাদের অবশ্য এই উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে, সেটা নিয়ে কিছু বলতে হবে না। ওরা এসব উইকেটেই বল করে অভ্যস্ত। তবে আমার মনে হয়, সার্বিকভাবে আমরা কতটা ধৈর্য ধরতে পারি, কতটা সৃষ্টিশীল হতে পারে, সেটার পরীক্ষাই হবে এ সপ্তাহে।’
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘এখানকার কন্ডিশনে সবারই খুব ঘাম ঝরবে। আর্দ্রতা খুবই বেশি। উপমহাদেশে সাধারণত যেমন থাকে আরকি। ৩০ ওভারের পর আমরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কতটা চাপ তৈরি করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আর অবশ্যই, বল পুরোনো হলে রিভার্স সুইং করাতে হবে। সুতরাং আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। তবে এই কন্ডিশন অবশ্যই পেসারদের পরীক্ষা নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানসিক শক্তি, সৃষ্টিশীলতা ও শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা প্রথম টেস্টটি মাঠে গড়ানোর কথা ১৫ মে থেকে।