ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের গোলশূন্য ড্র
১ জুন ২০২২ ২২:০১
ফিফার র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে ইন্দোনেশিয়া। আর তাদের বিপক্ষে চোট জর্জরিত দল নিয়ে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এতেই ৩৭ বছর পর ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ড্র করল বাংলাদেশ। এর আগে ১৯৮৫ সালে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ১–১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আজকের আগে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া মুখোমুখি হয়েছিল ৬ বার। ইন্দোনেশিয়ার চার জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন এক জয় ও এক ড্র।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ২০০৮ সালে মারদেকা কাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে যদিও বাংলাদেশ হেরেছিল ২-১ গোলের ব্যবধানে। এরপর ১৪ বছর ফিফা প্রীতি ম্যাচে দেশটির বিপক্ষে মাঠে নামে জামাল ভূঁইয়ার দল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খাতা কলমে এগিয়ে ছিল ইন্দোনেশিয়া। আর মাঠের খেলাতেও আক্রণে বেশ এগিয়েই ছিল তারা। তবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক এবং রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোল পায়নি ইন্দোনেশিয়া।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ইন্দোনেশিয়া। এগিয়ে যেতে পারত ম্যাচের ১১ মিনিটের মাথাতেই। তবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করতে পারেননি ফাসরুদ্দিন। বাম প্রান্ত থেকে নেওয়া আসনাওয়ি ম্যাংকুয়ালামের লম্বা থ্রো-ইন থেকে ফাসরুদ্দিনের হেড গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন। ১৩ মিনিটে আবারও বাংলাদেশকে রক্ষা করেন জিকো। বক্সের ডান দিকের কোণা থেকে সাদ্দিল রামদানির বাম পায়ের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে আটকে দেন জিকো।
ইন্দোনেশিয়ার মুহুর্মুহ আক্রমন রুখতেই কেবল ব্যস্ত ছিল বাংলাদেশের রক্ষণ। ২১ মিনিটে স্টিফেনো জানজির দুর্দান্ত এক শট শরীর দিয়ে রুখে দেন জিকো। এরপর অবশ্য একটা সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় রাকিব হোসেনের জোরালো শট রুখে দেন ইন্দোনেশিয়ার গোলরক্ষক। এতেই প্রথমার্ধ গোলশূন্যতে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার ধরে রাখে স্বাগতিকরা। ৪৬ মিনিটে রাসমত ইরিয়ান্তোর ক্রসে বক্সের ভেতরে ফাঁকায় ইরফান জায়া বল রিসিভ করে লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জের মুখে বল আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। এরপর ৫৪ মিনিটে জামালের ফ্রি-কিকে সাজ্জাদ জটলা থেকে শট নিলেও তা ব্লক হয়।
এরপর ম্যাচের ৬৬ মিনিটে সাদ্দিলের ফ্রি-কিক স্টিফেনো জানজি ফাঁকায় থেকে নেওয়া হেড গোলরক্ষক জিকো প্রতিহত করেন। ৭৩ মিনিটে ইন্দোনেশিয়া একবার জালে জড়ালেও অফসাইডে তা আর হয়নি। শেষ দিকে মুহাম্মদ দিমাসের হেড ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। গোল শূন্য সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। আগামী ৮ জুন থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব।
সারাবাংলা/এসএস