অধিনায়ক সাকিবে আশাবাদি সিডন্স
৪ জুন ২০২২ ১৮:৩৭
দুদিন ধরেই প্রশ্নটা ঘুরছে ক্রিকেটপাড়ায়। এই যাত্রায় অধিনায়ক হিসেবে কেমন করবেন সাকিব আল হাসান? মুমিনুল হকের জায়গায় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সাকিব। গুঞ্জন শোনা যায়, টেস্ট খেলা নিয়ে সাকিবের অনাগ্রাহ। তাছাড়া আগের দুইবার সাকিবের নেতৃত্ব হারানোর সময় পরিবেশটা মোটেও ভালো ছিল না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শ জেমি সিডন্স অবশ্য এবারের অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে দারুণ আশাবাদি।
‘অধিনায়ক’ সাকিবের সূচনা হয়েছিল সিডন্সের অধিনেই। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটে পড়লে হুট করেই অধিনায়কত্ব পেয়ে যান তখনকার সহ-অধিনায়ক সাকিব। পরে দায়িত্ব পান নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে। সেই সময় জেমি সিডন্স ছিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ। অধিনায়ক সাকিবের ভালো-মন্দ সিডন্স নিশ্চয় ভালো বুঝবেন।
শনিবার (৪ জুন) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিডন্স। সাকিবের টেস্ট খেলতে অনাগ্রহের খবরের প্রসঙ্গটি উঠল।
সিডন্সের উত্তর, ‘সে যদি অধিনায়কত্ব করতে চায়, তাহলে তাঁকে খেলতেই হবে। না খেলে তো অধিনায়কত্ব করা যায় না। আমার মনে হয়, সে আবারও অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টিতে রোমাঞ্চিত। আমি তো মনে করি, সাকিবের নেতৃত্বগুণের এমন কিছু দিক এখন আমরা দেখতে পাব, যা আমরা আগে দেখিনি।’
অধিনায়ক সাকিবের দুটি ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন সিডন্স। তিনি বলেন, ‘এখানে দুটি ইতিবাচক দিক আছে। সাকিব খুব ভালো অধিনায়ক। খেলা নিয়ে ভাবনার জায়গাটাতেও সাকিব খুবই ভালো। একই সঙ্গে সাকিব ধারাবাহিক পারফরমারও। যে কারণে সবাই তাঁকে অনুসরণ করেন। সে অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কিছুই করবে।’
এবারের অধিনায়ক সাকিব কেমন করবেন সেটা দেখতে অবশ্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
সারাবাংলা/এসএইচএস