সেইন্ট লুসিয়া টেস্টে উদ্বোধনী জুটির দারুণ শুরু পরেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ডুবেছে বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসের ফিফটি আর টেলএন্ডারদের দারুণ ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ২৩৪ রানে।
তামিম ইকবাল এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভরসা খুঁজে পাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে জয়ের ফেরার পর বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি অভিজ্ঞ তামিম ইকবালও। জয় ১০ আর তামিম ফেরেন ফিফটি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৭৭ রান তোলে।
মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আট বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা এনামুল হক বিজয় ভালোই সামলাচ্ছিলেন। তবে দলের শতরান পূরণ হওয়ার পরে ছন্দপতন বাংলাদেশের। ৩৪তম ওভারে বিজয় ২৩ রানে আর পরের ওভারে শান্ত ২৬ রানে ফিরলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সে সময় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান ১০৫।
এরপর বেশি সময় টিকতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান যোগ হতে ফেরেন তিনিও। তবে এক প্রান্ত আকড়ে ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন লিটন দাস। অন্যপ্রান্তে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল। সাকিব মাত্র ৮ রান করে ফেরার পর উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান ফেরেন ৭ রানে। এতেই চা -বিরতি পর্যন্ত ১৫৯ রান তুলতে ৬ ব্যাটার হারায় বাংলাদেশ।
চা-বিরতি থেকে ফিরে মেহদি হাসান মিরাজ ৯ রান করে ফিরলে বড় সংগ্রহ গড়ার আশা শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের। তবে এর ভেতরেও রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। ৫৬তম ওভারের শেষ বলে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে টেস্টে নিজের ১৪তম ফিফটি তুলে নেন লিটন দাস। তবে এরপর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন। ৫৮তম ওভারে জোসেপের শর্ট লেন্থের বল পুল করে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ব্র্যাথওয়েটের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৭০ বলে ৫৩ রান করেন লিটন। সে সময় ৮ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৩ রানে।
তবে শেষ দুই উইকেটে এবাদত হোসেন আর শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৪১ রান। যার মধ্যে ১৭ বলে ২৬ রান আসে শরিফুলের ব্যাট থেকে। আর এবাদত হোসেন ৩৫ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এতেই বাংলাদেশ ৬৪.২ ওভারে ২৪৩ রানে অলআউট হয়।
উইন্ডিজের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন জেইডান সিলস এবং আলজারি জোসেপ। এছাড়া অভিষিক্ত অ্যান্ডরসন ফিলিপের সঙ্গে দুটি উইকেট নেন কাইল মায়ার্সও।