‘সাকিবের ওই ওভারই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে’
৪ জুলাই ২০২২ ১৬:৩১
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম বোলিং করতে এসে মাত্র ১ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম তিন ওভারে দেন মোট ১৫ রান। কিন্তু ইনিংসের ১৭তম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে দিলেন ২৩ রান। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে ৩৫ রানে। বাংলাদেশি বোলারদের কচুকাটা করা রভম্যান পাওয়েল ম্যাচ শেষে বললেন, সাকিবের ওই খরুচে ওভারটাই ম্যাচের মোট ঘুরিয়ে দিয়েছে।
ম্যাচে সাকিবের চতুর্থ ওভার থেকে ২৩ রান নিয়েছেন রভম্যান পাওয়েল। শুধু সাকিব নয়, যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ব্যাট হাতে বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছেন। ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাত্র ২৮ বল খেলে। চার মেরেছেন ২টি, আর ছক্কা ৬টি। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে পাওয়েলের হাতে।
ম্যাচ শেষে ক্যারিবিয়ান হার্ড হিটার বলছিলেন, ‘আমি মনে করি ম্যাচের পরিস্থিতি ও কোন বোলারকে মেরে খেলতে হবে সেটা বুঝতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি বুঝতে পেরেছিলাম সাকিবের আজকের দিনটা ভালো যাচ্ছে না এবং তারপর আমি তাকে টার্গেট করলাম। তখনও পাঁচ ওভার ছিল। হ্যাঁ, এটা (সাকিবের বিপক্ষে বড় ওভার) ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলো। আমরা সবসময় ব্যাটিংয়ের সময় কথা বলছিলাম কীভাবে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। আর সাকিবের বিপক্ষে ওই ওভারই আজ আমাদের পথে রেখেছিল।’
পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ইনিংসের ১৩তম ওভারে ক্রিজে আসেন পাওয়েল। ওভারপ্রতি প্রায় ৮ গড়ে রান তুলে তার আগেই অবশ্য নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর যাতে বড় অবদান ছিল ব্র্যান্ডন কিং (৫৭) ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের (৩৪)।
দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রান যোগ করেন দুজন। পাওয়েলের মতে, ওই দুজনের শক্ত ভীত তাকে নির্ভার খেলতে সহায়তা করেছে। পাওয়েল বলেন, ‘অধিনায়ক ও ব্র্যান্ডন আগেই শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিল এবং আমার মতে আমি ক্রিজে আসার আগেই তারা ভালো খেলেছিল। সুতরাং স্কোর এগিয়ে নিতে এটা শুধু আমার জন্য সুযোগ ছিল। আমি মনে করি আজ সেটাই করেছি। তিনি আরও বললেন, ‘আমি মনে করি এটা ছিল ভালো উইকেট, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের জন্য। বল আসছিল ব্যাটে এবং একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করাই ছিল কাজ।’
ডমিনিকায় প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯৩ রানের পাহাড় গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে ১৫৮ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে মার খাওয়া সাকিব আল হাসানই ছিলেন ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে সফল। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করেন সাকিব।
সারাবাংলা/এসএইচএস