ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ১০ মাস নিষিদ্ধ বাংলাদেশি পেসার
১৪ জুলাই ২০২২ ১৮:৪৯
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশি পেসার শহীদুল ইসলাম। গত মে মাস থেকে শুরু হয়েছে শহীদুলের অন্তবর্তীকালিন নিষেধাজ্ঞা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তাৎপর্যপূর্ণ কোনো অবহেলা’ করেননি শহীদুল। অন্য একটি চিকিৎসার জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবেই ওই ওষুধ তিনি নিয়েছিলেন।
আইসিসির অ্যান্টি-ডোপিং বিধির ২.১ ধারা ভঙ্গ করেছেন শহীদুল। গত ২৮ মে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী বাংলদেশি পেসার। তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে সেদিন থেকেই। হিসেব মতে আগামী ২৮ মার্চ আবার মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।
গত ৪ মার্চ শহিদুলের মূত্র নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই নমুনাতে ক্লোমিফিন নামের নিষিদ্ধঘোষিত দ্রব্য পাওয়া যায়। এদিকে আইসিসি বলছে, শহীদুল ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ওষুধ সেবন করেননি। অন্য একটি অসুখের জন্য তাকে ব্যবস্থাপত্রে ক্লোমিফিন দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টিতে শহীদুলের ইচ্ছাকৃত সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি আইসিসি। নিজের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য তিনি যে ওষুধ সেবন করেননি সেটা আইসিসিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন শহীদুল।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ডোপিং বিরোধী নিয়ম যে তিনি মানতে পারেননি সেটিও স্বীকার করেছেন বাংলাদেশি পেসার।
এদিকে বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অন্য একটি অসুখ সারানোর জন্যই ওই ওষুধ সেবন করেছিলেন শহীদুল। তবে ওষুধটি সেবনের সময় বিসিবিকে এ বিষয়ে অবগত করেননি তিনি।
বাংলাদেশের চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলে ছিল শহিদুলের নাম। কিন্তু তাকে দলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি। কারণ হিসেবে শহীদুলের চোটে পরার কথা বলা হয়েছিল।
জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শহীদুল। চলতি বছর মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৩.৫ ওভার বোলিং করে ৩৩ রান খরচায় একটি উইকেট পেয়েছিলেন শহীদুল।
সারাবাংলা/এসএইচএস