টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কখনোই টানা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে টাইগাররা ৯ নম্বরে। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি দলকে ঢেলে সাজানোর বার্তা দিয়েছে বোর্ড। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে হটিয়ে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। অভিজ্ঞদের ছেটে তরুণদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দলে। কিন্তু তাতেই কী সাফল্য মিলবে? এই সংস্করণে ব্যাটিং নিয়ে বারবারই ভুগতে হয় বাংলাদেশকে। পাওয়ার হিটিংয়ের অভাবের কথা বলা হয়। স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদি হাসান অচিরে এই সমস্যা সমাধানের রাস্তা দেখছেন না।
পাওয়ার হিটিং দুর্বলতার প্রসঙ্গ উঠলেই টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল কিংবা কাইরন পোলার্ডের মতো মাসলম্যান নেই বাংলাদেশ দলে। পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য মাসল ওয়ালা শরীর যেন শর্ত! শেখ মাহেদী হাসানও বললেন একই কথা।
সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার রাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ের বিমান ধরবে বাংলাদেশ দল। তার আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের মতো করে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) অনুশীলন করেছেন মাহেদি। এক ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তরুণ স্পিনিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘দেখুন, আমরা বাংলাদেশি, আমরা কেউই পাওয়ার হিটার না। আমরা চাইলে আন্দ্রে রাসেল বা পোলার্ড হতে পারব না। আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু আছে তা দিয়ে যতটা উন্নতি করা যায়।’
মাহেদি বলেন, ‘হ্যাঁ পাওয়ার হিটিং কোচের দরকার। তবে আপনার যে স্কিল আছে, একে কোচ হয়তো ১০ শতাংশ এগিয়ে দেবে। কিন্তু ৩০ শতাংশকে ১০০ শতাংশকে পৌঁছে দিতে পারবে না। আমরা জন্মগতভাবেই এরকম। রাতারাতি পরিবর্তন করা মনে হয় না সম্ভব।’

ফাইল ছবি
যদিও রাতারাতি নয়, বাংলাশের এই সমস্যা ১৫ বছর যাবত। এই ফরম্যাট চালু হওয়ার পর থেকেই দ্রুত রান তোলার বিষয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। মাসলম্যান ছাড়া পাওয়ার হিটিং যে সম্ভব না বিষয়টা কিন্তু তেমনও না। ভারত, পাকিস্তানের মতো দলগুলোতে বলার মতো মাসলম্যান নেই বললেই চলে। কিন্তু ভারত টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে ১ নম্বরে, পাকিস্তান তিনে অপর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ র্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে! বিশাল শরীর না হলেও নিয়মিত দ্রুত গতিতে রান তুলতে দেখা যায় হার্দিক পান্ডিয়া, পৃথ্বী শ, আসিফ আলির মতো ক্রিকেটাররা। শুধু পাওয়ার হিটিং নয় ভারত-পাকিস্তানের মতো দলগুলোর একাদশের অন্য ক্রিকেটাররাও ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেন, বাংলাদেশ সেখানেও বেশ পিছিয়ে।
মাহেদি বলছেন, আরও সময় দিতে হবে। কাজ করতে হবে আরও, ‘আমরা প্রায় ১৫ বছরের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছি। হলে আরও আগেই হয়ে যেত। যেহেতু হচ্ছে না, আমাদের এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। পাওয়ার হিটিংয়ের কথা সবসময়ই আসে। কিন্তু এটা ঠিক না। আমাদের সামর্থ্যের বাইরে চাইলেও করতে পারবে না। এটা আপনাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে।’