জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি বাংলাদেশের ইতিহাসের ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচ। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল তামিম ইকবালের দল। এর আগে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই পাঁচ উইকেটে হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩২.২ ওভারে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। আর তাতেই ১০৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে এড়ায় হোয়াইটওয়াশ।
এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসের ১০০তম এবং ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৩০০তম ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের কাছে ১০৯ রানে হারে বাংলাদেশ। ২০০তম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ আর ১০০তম ওয়ানডেতে ভারতকে ১৫ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে তৃতীয় ম্যাচে ২৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৭ রানে দুই উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে তাকুদযাওয়ানাশি কাইতানো হাসান মাহমুদের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে রানের খাতাও খুলতে পারেননি কাইতানো। জিম্বাবুয়ে দলীয় ৫ রানে হারায় প্রথম উইকেট।
পরের ওভারে বল হাতে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আর বল হাতে এসে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তাদিওয়ানাশি মারুমানিকে বোল্ড করেন মিরাজ। দলীয় ৭ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট। মারুমানি ফেরেন মাত্র ১ রান করে।
এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হলো পেসার ইবাদত হোসেনকে। আর তৃতীয় ওয়ানডেতে শরিফুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদ একাদশের বাইরে চলে গেলেন তাদের জায়গা পূরণ করতে জাতীয় দলে অভিষেক ঘটল পেসার ইবাদত হোসেনের। আর অভিষেকেই চোখ রাঙাচ্ছেন ইবাদত।
ক্যারিয়ারের করা দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া আঘাত হানলেন তিনি। যার ভেতর টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়েকে জয় এনে দেওয়া সিকান্দার রাজার উইকেটও রয়েছে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল হাতে আসেন ইবাদত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা করেন ওয়াইড দিয়ে। এরপর ওভারের শেষদিকে আরও একটি ওয়াইড বল করেন তিনি।
এক ওভার বিরতিতে আবারও বল হাতে আসেন ইবাদত। এবারের ওভারটিও শুরু করেন ওয়াইড দিয়ে। এরপর ওভারের তৃতীয় বলে ওয়েসলি মাধেভেরকে ফেরান ইবাদত। ব্যাক অব লেন্থে করা বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মাধেভের। জিম্বাবুয়ে ১৮ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
এরপর বাংলাদেশের বলাররা চেপে ধরে জিম্বাবুয়েকে। ৯ম ওভারে বল হাতে এসে তাইজুল ইসলাম তুলে নেন ইনোসেন্ট কাইয়াকে। এরপর টনি মুনয়োঙ্গাকেও তুলে নেন তাইজুল। এতেই ৪৯ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৭ম উইকেটে লুক জঙ্গোয়েকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাইভ মাদান্দের সঙ্গে জুটি গড়ে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন। কিন্তু এরপরেই এই দুই ব্যাটারকে তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। আর তাতেই বাংলাদেশের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
শেষ উইকেটে রিচার্ড এনগারাভা এবং ভিক্টর নিয়ুচি মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। তবে শেষ দিকে মোস্তাফিজুর রহমান নিয়ুচিকে বোল্ড করলে জিম্বাবুয়ে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয়। আর বাংলাদেশ ১০৫ রানের জয় পায়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম এবং ইবাদত হোসেন আর একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ এবং মেহেদি হাসান মিরাজ।