৯ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পুঁজি ছিল মাত্র ১২৭ রানের। তবুও বোলিং ইনিংসের ১৫ ওভার পর্যন্ত আফগানিস্তানকে বেশ ভালোই চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু স্লগ ওভারের বোলিং ঠিকমতো করতে না পারায় ওলট-পালট হয়ে গেছে সব কিছু। ম্যাচ শেষে আর ১৫-২০ রানের আক্ষেপ করলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ বরাবরই স্পিনবান্ধব। ধীরগতির উইকেটে উঁচু, নিচু বাউন্স— এমন উইকেটে স্বাভাবিকভাবেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল আফগানিস্তানের স্পিন বিভাগ। মুজিব-উর রহমানের স্পিন বাংলাদেশের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দিয়েছে। মিডল অর্ডারকে দাঁড়াতে দেননি অপর স্পিনার রশিদ খান।
এক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতই একপ্রান্ত ধরে লড়াই করতে পেরেছেন। যাতে ১২৭ পর্যন্ত যেতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে পরে আফগানিস্তানেরও কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি আফগানদের রানও তুলতে দিচ্ছিলেন না বাংলাদেশি স্পিনাররা।
শেষ পাঁচ ওভারে আফগানিস্তানের রান তোলার গড় দশেরও ওপরে গিয়ে ঠেকেছিল। কিন্তু তারপর আর গতিটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে পেস বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফিউদ্দিন ছিলেন একদমই সাদামাটা। সেই সুযোগ নিয়ে স্লগ ওভারে দ্রুত রান তুলে আফগানদের ম্যাচ জিতিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
তবে বাংলাদেশের পুঁজিটা আর একটু বড় হলে নিশ্চয় চাপ বাড়ত আফগানিস্তানের। ম্যাচ শেষে সেটাই যেন বলতে চাইছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম ৭-৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে সব সময়ই ম্যাচ বের করা কঠিন। তবে এমন উইকেটেও আমরা ১৫-২০ রান কম করেছি বলে মনে করি। বোলাররা অসাধারণ করেছে। প্রথম ১৫ ওভারে আমরা ম্যাচেই ছিলাম। শেষ ৫-৬ ওভারে ওরা ম্যাচ বের করে নিয়েছে। আফগানিস্তান যেভাবে খেলেছে, ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
পরে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও তেমন কথা বললেন, ‘এখানে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। ওরা ভালো করেছে, ফলে ওদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তবে ১০-১৫ রান কম করেছি আসলে।’
শুরুতেই কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে না পরলে স্কোর বড় করার সুযোগ থাকত বলছেন মোসাদ্দেক, ‘সেটি (বড় স্কোর) করার মতো অবস্থানে প্রায় চলে গিয়েছিলাম। তবে উইকেট হারালে কঠিন হয়ে যায়। উইকেট রাখতে পারলে, ১৫ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম, তাহলে ভিন্ন হতো। ওরা এখানে ভালো খেলেছে।’
বাংলাদেশের আগে শ্রীলংকাকেও হারিয়েছে আফগানিস্তান। টানা দুই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত দলটির। এদিকে বাংলাদেশের জন্য সুপার ফোর অনেক দূরের রাস্তা। একদিন পর শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে যেতে হলে সেই ম্যাচে জিততেই হবে সাকিব আল হাসানের দলকে।