বাংলাদেশকে হারাতে যে ছক কষেছিল আফগানিস্তান
৩১ আগস্ট ২০২২ ১৪:৫১
শারজায় বাংলাদেশকে কাল ৭ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। স্পিনবান্ধব উইকেটে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১২৭ রান তুলতে পেরেছিল। পরে এই রান তাড়া করতেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় আফগানদের। নাজিবুল্লাহ জাদরানের শেষের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আফগানিস্তান।
লক্ষ্য ১২৭ রান হলেও জেতা যে সহজ হবে না সেটা নাকি আগেই আন্দাজ করেছিলেন আফগানরা। দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি জানালেন, সে অনুযায়ীই পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।
১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই আফগানদের চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। ১৪ ওভার শেষে ৩ উইকেটে আফগানদের রান ছিল ৬৫। ততক্ষণে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দলটি। অর্থাৎ বাকি ৬ ওভারে ৬৩ রান তোলার সমীকরণ দাঁড়ায় আফগানদের সামনে। তবে নাজিবুল্লাহ জাদরানের শেষের ঝড় এই কঠিন সমীকরণটা সহজেই মিলিয়েছে তারা।
মোহাম্মদ নবি বললেন, উইকেট কঠিন ছিল বলে তাদের পরিকল্পনা ছিল ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়া শেষ দিকে এবং শেষ দিকে গিয়ে আক্রমণ করা। সেই ছকে সফলও হয়েছে তারা। মোহাম্মদ নবি বলেন, ‘নাজিবউল্লাহ যখন মার শুরু করেছে, তখনই ম্যাচ ঘুরে গেছে। যখন বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়, আমরা মাঠে গোল হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। বলছিলাম, এই মাঠে এই রান তাড়া সহজ নয়। আমাদের অবশ্যই উইকেট ধরে রাখতে হবে। শেষ সময়ে বড় শট খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে। যেটা নাজিবউল্লাহ জাদরান আজ করেছে।’
ছয়টি ছয়ে নাজিবুল্লাহ শেষ দিকে মাত্র ১৭ বলে ৪৩ রান তোলেন। তবে শেষ দিকে খেলাটা টেনে নিয়ে যাওয়াতে বড় কৃতিত্ব ইব্রাহিম জাদরানের। তিনে নেমে ৪১ বলে ৪২ রান তুলে মিডল ওভারগুলোতে চাপের মধ্যে আফগানদের ধরে রেখেছিলেন।
নবি বললেন এই ক্ষমতা আছে জেনেই তাকে তিন নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে পাঠানো হয়েছিল, ‘এক প্রান্তে আমাদের ইনিংসকে গভীর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য ওর (ইব্রাহিম) আছে। আরেক প্রান্তে অন্যরা বোলারদের উপর চড়াও হতে পারে। আমাদের এই ধরনের ব্যাটসম্যান দরকার যে, সহজেই প্রান্ত বদল করে খেলতে পারে। এ কারণেই ইব্রাহিমকে আমরা টপ অর্ডারে রেখেছি। পুরোটা সময়ই ইব্রাহিম চাপে থাকে না। যখন মেরে খেলা দরকার, তখন সে সেটা করতে পারে।’
আফগানদের সুপার ফোর নিশ্চিত। তবে বাংলাদেশের জন্য রাস্তাটা এখন বড্ডই কঠিন। আগামীকাল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে যেতে হলে সেই ম্যাচটি জিততেই হবে।
সারাবাংলা/এসএইচএস