‘মেসি-রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর থাকতো’
১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:১১
সারাবাংলা ডেস্ক
ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুটবলার কে? বিতর্কের কোনো শেষ নেই। কেউ বলবে পেলে, আবার কেউ বলবে ম্যারাডোনা। বর্তমান ফুটবল বিশ্বের সেরা হিসেবে কেউ বলবে মেসি আবার কেউ বলবে রোনালদো। পেলের সঙ্গে তুলনা চলে ম্যারাডোনার আর মেসির সঙ্গে তুলনা হয় রোনালদোর। এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত।
তবে, আর্জেন্টিনার ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা এটা নিয়ে কি ভাবছেন? তিনি নিজেকে কিন্তু সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবেই বিবেচনা করছেন। যদিও সেরা খেলোয়াড় বিবেচনায় যে পুরস্কারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, সেই ব্যালন ডি’অর কখনো জেতা হয়নি ম্যারাডোনার।
ম্যারাডোনা যখন খেলোয়াড়, তখন ‘ফ্রান্স ম্যাগাজিন’ পুরস্কারটা দিতো শুধু ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর সীমাবদ্ধ ছিল শুধু ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়ের জন্য। ইউরোপের বাইরের দেশের কোনো খেলোয়াড় দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও তাদের বিবেচনায় আনা হতো না। যদি এই নিয়মনীতি না থাকতো, তাহলে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির দখলে মেসি ও রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর থাকতো বলে মত তার।
ম্যারাডোনার যুক্তি কিন্তু ভুল না। আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। এছাড়া ক্লাব নাপোলিকে সিরি ‘আ’ জিতিয়েছেন। এতোকিছুর পরও ফুটবলে ব্যক্তিগত অর্জনের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটি পাওয়া হয়নি এই ‘ফুটবল ঈশ্বরের’। খেলোয়াড়ি জীবনে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এর দেওয়া পুরস্কারটি না পেলেও ১৯৯৬ সালে ম্যারাডোনাকে দেওয়া হয়েছিল ‘বিশেষ’ ব্যালন ডি’অর।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক ‘এএস’কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ম্যারাডোনা বলেন, ‘ব্যালন ডি’অর? একজন খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর দেওয়াটা অনেক কঠিন, কারণ সবসময় রোনালদো কিংবা মেসিকেই দেওয়া হচ্ছে পুরস্কারটি, যা বিরক্তিকর।’
‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীর দেওয়া বর্ষসেরা ফুটবলারের এই পুরস্কার জয়ে এখন আর কেউ এককভাবে এগিয়ে নেই। মেসি আর রোনালদো সমান পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। তাহলে অন্য কার হাতে পুরস্কারটি যেতে পারে, এমন প্রশ্নে ম্যারাডোনার উত্তর, ‘অন্য কে এটার দাবিদার? হয়তো এডিনসন কাভানি, কাইলিয়ান এমবাপে, ইব্রাহিমোভিচ; যদিও আমি ঠিক বলতে পারব না। আগে অনেক বেশি প্রার্থী ছিল।’
তার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে যদি নিয়মটা এখনকার মতো হতো, তাহলে? ম্যারাডোনার স্পষ্ট জবাব, ‘মেসি ও রোনালদোর চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর থাকতো আমার।’
সারাবাংলা/এমআরপি/১৬ ডিসেম্বর ২০১৭