ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে কঠিন ম্যাচ দিয়েই শুরু প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর। জুভেন্টাসকে আতিথ্য দেওয়া পিএসজিকে একাই জিতিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। ম্যাচের ২২ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে ম্যাককেনি জুভেন্টাসের হয়ে এক গোল পরিশোধ করলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্যারিসিয়ানরা।
জোড়া গোল করে এমবাপে চ্যাম্পিয়নস লিগের রেকর্ড বইয়েও নাম লিখিয়েছেন। ২০১৩ সালে মাত্র ২৯ মিনিটে জোড়া গোল করে রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর ৯ বছর পরে এসে মাত্র ২২ মিনিটে জোড়া গোল করে নতুন এক রেকর্ড লিখলেন কিলিয়ান এমবাপে। ক্যারিয়ারের ৫৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে নেমে এটি এমবাপের ৩৫তম গোল ছিল আর সেই সঙ্গে নামের পাশে আছে আরও ১৯টি অ্যাসিস্টও।
হালান্ডের রেকর্ডের দিনে সেভিয়াকে উড়িয়ে দিল ম্যানসিটি
সেল্টিককে হারিয়ে ৪২ বছর পর প্রতিশোধ রিয়ালের
লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র এবং কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ পিএসজির তাই তো এবারেও চ্যাম্পিয়নস লিগের হট ফেভারিট তারা। লিগ ওয়ানে জমে উঠেছে এই ত্রয়ীর বোঝাপড়া। এবার পালা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে জ্বলে ওঠার। তবে ত্রয়ী জ্বলে উঠতে না পারলেও নেইমার ও এমবাপের জুটি ঠিকই জ্বলে উঠেছে। শক্তিশালী জুভেন্টাসের জালে এমবাপে বল জড়িয়েছেন দুইবার যার মধ্যে একটিতে ছিল নেইমারের দুর্দান্ত এক অ্যাসিস্ট।
জুভেন্টাসের রক্ষণ ভেঙে বল জালে জড়াতে পিএসজি সময় নেয় মাত্র পাঁচ মিনিট। নেইমার এবং এমবাপের যুগলবন্দীতে দারুণ এক গোল পায় পিএসজি। জুভেন্টাসের রক্ষণভাগের মাথার ওপর দিয়ে দারুণ এক পাস এমবাপের উদ্দেশ্যে বাড়ান নেইমার আর সেই পাস ধরে কাছের পোস্ট থেকে বল জালে জড়ান এমবাপে। পিএসজি লিড নেয় ১-০ গোলের।
এরপর ম্যাচের ২২তম মিনিটে ডান দিক থেকে আশরাফ হাকিমি আক্রমণে উঠে বাঁ দিকে থাকা এমবাপের দিকে পাস বাড়ান। হাকিমির কাছ থেকে বল পেয়ে তা জালে জড়িয়ে ব্যবধান দিগুণ করেন এমবাপে। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় জুভেন্টাস। ৫৩তম মিনিটের মাথাত ফিলিপ কস্টিকের কর্নার থেকে ভাসানো বল লাফিয়ে উঠে হেড দিয়ে জালে জড়ান ওয়েস্টন ম্যাককিনি। জুভেন্টাস এক গোল শোধ করে। এর দুই মিনিট পরেই দারুণ এক আক্রমণে সমতায় ফেরার কাছে চলে যায় জুভেন্টাস তবে সে যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ান পিএসজি গোলরক্ষক ডোনারুম্মা। এরপর দুই দলই দারুণ কিছু আক্রমণ সাঁজালেও শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল হয়নি। এতেই পিএসজি ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।