৩৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পরের বলেই টিম সাউদিকে মাথার ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেললেন সাকিব আল হাসান, ছক্কা। ধারাভাষ্যে ওয়াকার ইউনুস তখন বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ এই ম্যাচ জিততে পারবে বলে মনে হয় না, তবে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং বেশ উপভোগ্য। সামনেই বিশ্বকাপ।’ আসলেই তাই, বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আজ যেমন ব্যাটিং করলেন সেটা উপভোগ্যই।
কদিন ধরে বেশ সমালোচনা হলো সাকিবকে নিয়ে। ঠিক সময়ে বিমান ধরতে পারেননি বলে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটা মিস করেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন সাত নম্বরে, সমালোচনার বাড়তি রসদ হয়েছিল সেটা। আজ চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে অসাধারণ এক ইনিংসই খেললেন বাংলাদেশ।
ষষ্ঠ ওভারে লিটন দাস আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই মিচেল ব্রেসওয়েলকে চার হাঁকালেন সাকিব। ব্রেসওয়েলের অফ সাইডের বলটা সাকিব চালিয়েছিলেন মিড অনের গ্যাপে। মারে খুব একটা জোর না থাকলেও গ্যাপ দিয়ে ঠিকই সীমানা দঁড়িতে গিয়ে ঠেকল বল।
৭০ রানের সাকিবের আজ পুরো ইনিংসটাই যেন এমন। বলের গুণাগুণ বিচার করে শট খেলেছেন গ্যাপে। তাতে রান এসেছে নিয়মিত। ১৩তম ওভারে ইশ শোধিকে কাভারের ওপর দিয়ে দুই ফিল্ডারের মাঝখান দিয়ে চার হাঁকালেন পর পর দুটি। ঠিক জায়গায় শট খেলেছেন বারবার। ইদানিং বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বড় সমস্যা ‘ডট বল’। সেখানেও সাকিব আজ সন্তুষ্ট করেছেন, ৪৪ বল খেলে ডট বল খেলেছেন মাত্র ৭টি।
অপর প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ছিল টপাটপ। ফলে নিজের কাঁধেই বাড়তি চাপ নিয়েছেন। শরীরী ভাষায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের উদাহরণ দেখা যায়নি, তবে সাকিবের স্ট্রাইকরেট কিন্তু আজ ১৫৯.০৯। ১৯তম ওভারে টিম সাউদির ওয়াইড বল তাড়া করতে গিয়ে ফিরেছেন ৪৪ বলে ৭০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে। সাকিব চার মেরেছেন ৮টি, ছক্কা ১টি।
তার আগে আজ বল হাতে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করে উইকেটশূন্য। তবে বোলার সাকিবের এমন দিন আসে কমই। ফলে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠার বিষয়টা বিশ্বকাপের আগে বাড়তি তৃপ্তিরই।