১৮ বলে ৪টি চার আর ৬টি ছয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত মার্কাস স্টয়নিস। আর তাতেই শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য ২১ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। অজিদের হয়ে এদিন টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটি তুলে নেন স্টয়নিস।
১৫৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার এবং অ্যারন ফিঞ্চ ধীর শুরু করেন। ৫ম ওভারে এসে ১০ বলে ১১ রান করে থিকসানার বলে শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। এতেই মাত্র ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর চাপে ছিল অজিরা আর শুরুর ধাক্কা চাপ বাড়িয়ে দেয় আরও।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা মিচেল মার্শ ১৭ বলে ১৮ রান করলে রানের চাকা কিছুটা গতি পায়। তবে ৯ম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লং অফে রাজাপাকসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন মিচেল মার্শ। এতেই ৬০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মার্শ ফিরলে চারে ব্যাট হাতে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাট হাতে এসেই উইকেটে ঝড় তোলেন। মাত্র ১২ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ২৩ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন করুনারত্নের বলে ক্যাচ দিয়ে। অস্ট্রেলিয়া ১৩তম ওভারে ৮৯ রানে হারাল তৃতীয় উইকেট।
অন্যরা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এদিন ছিলেন খুব শান্ত মেজাজে। তবে পাঁচে ব্যাট হাতে আসা মার্কাস স্টয়নিস ব্যাট হাতে এসে পাল্টে দেন সব সমীকরণ। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অজিদের বড় জয়ের পথে রাখেন। সেমিফাইনালে যেতে হলে কেবল জয় পেলেই হবে না সেই সঙ্গে নজরে রাখতে হবে রান রেটও। সেই লক্ষ্যেই স্টয়নিস চড়াও হন লংকান বোলারদের ওপর।
মাত্র ১৭ বলে তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। দুর্দান্ত ইনিংসটি স্টয়নিস ৪টি চার আর ৬টি ছয়ে সাজান। আর তাতেই ১৬.৩ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে অস্ট্রেলিয়া। উইকেটের অপরপ্রান্তে ৪২ বলে মাত্র ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যারন ফিঞ্চ।
শ্রীলংকার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, চামিকা করুনারত্নে এবং মহেশ থিকসানা।
এর আগে মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরেও চারিথ আসালাঙ্কার ২৫ বলে ৩৮ রানের কার্যকরি ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে লংকানরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন পাঁচ বোলার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫৭ রানের পুঁজি শ্রীলংকার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। এছাড়া খেলা এবার একসঙ্গে দেখা যাবে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলে।