‘চ্যাম্পিয়নের অভিশাপ’ কাটালো ফ্রান্স
২৭ নভেম্বর ২০২২ ০০:০৭
গত তিন বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে। এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপেও ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি। অর্থাৎ, চলতি শতাব্দীতে কেবল ব্রাজিল ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০০৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল। চ্যাম্পিয়নদের এই ব্যর্থতা ফুটবল জগতে চ্যাম্পিয়নস কার্স নামে পরিচিত। তবে এবার ফ্রান্স এই অভিশাপ কাটিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে।
১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে জিনেদিন জিদানের দল। ২০০৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। তবে ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই ভরাডুবির শিকার হয় চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। একই ভাগ্য বরণ করতে হয় ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবং ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঠিক পরের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে তারা।
এবার বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগেই ইনজুরির কারণে ফ্রান্সের প্রথম সারির ৫ থেকে ৬ জন খেলোয়াড় দল থেকে বাদ পড়েন। এর মধ্যে রয়েছেন গত বিশ্বকাপজয়ী দলের মাঝমাঠের কারিগর পল পগবা এবং কান্তের মতো খেলোয়াড়। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েও পরে ইনজুরির কারণে বাদ পড়েন বর্তমান ব্যালন ডি ওর জয়ী করিম বেনজেমা এবং তরুণ তারকা স্ট্রাইকার ক্রিস্টোফার এনকুকু।
তবে সব আশঙ্কা কাটিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করেছেন ফ্রান্স। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে এবারের আন্ডারডগ ডেনমার্ককে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে লা ব্লুসরা। এর মাধ্যমে গ্রুপ পর্ব থেকে সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় জিরুড- এমবাপেদের।
সারাবাংলা/আইই