নেইমারকে রোনালদোর খোলা চিঠি
২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০৫
দুর্দান্ত ফর্মে থেকে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন নেইমার। সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে যতক্ষণ মাঠে ছিলেন দুর্দান্ত খেলেছেনও। কিন্তু বারবার কড়া ট্যাকলের শিকার হয়ে ওই ম্যাচেই ডান পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে নেইমারের। যাতে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের বাকি দুই ম্যাচে তার খেলার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। নেইমারের চোট ইস্যু এখন আলোচনার তুঙ্গে।
আগের দুই বিশ্বকাপেও চোট সমস্যায় ভুগেছেন নেইমার। তার চোটে পড়া নিয়ে ব্রাজিলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নেইমারের জাতীয় দলের সতীর্থ রাফিনিয়া কদিন আগে বলেছেন, ব্রাজিলিয়ানরা নেইমারের পা ভাঙার উল্লাস করে, যেটা দুঃখজনক।
চোটে পরে এমনিতেই আছেন বিপর্যস্ত অবস্থায়, তার ওপর এসব কথা নিশ্চয় ভালো লাগার কথা নয় নেইমারের। কঠিন সময় নেইমারের পাশে দাঁড়ালেন দেশটির কিংবদন্তি রোনালদো। সমালোচকদের কথায় পাত্তা না দিয়ে আরও ধারালো ভাবে নেইমারকে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন ‘দ্য ফেনোমেনন’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেইমারকে উদ্দেশ্য করে লম্বা এক খোলা চিঠি লিখেছেন রোনালদো, ‘এই খোলা চিঠি আমি অন্য কোনোভাবে শুরু করতে পারতাম না—তুমি দুর্দান্ত নেইমার! জায়ান্ট! আমি নিশ্চিত, আমার মতো বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ান তোমাকে ভালোবাসে। তোমার প্রতিভা তোমাকে এতটা উচ্চতায় নিয়ে গেছে বিশ্বের আনাচকানাচের মানুষ তোমাকে ভালোবাসে। এটারও কারণ আছে। যে খ্যাতি তুমি পেয়েছ, যে উচ্চতায় তুমি উঠেছ, তাতে ঈর্ষা ও নেতিবাচক বিষয়গুলোর সঙ্গেও তো লড়তে হয়। তুমি যেভাবে উঠে এসেছ এবং যে মানের তারকা, তোমার চোটে পড়া উদ্যাপন করায় প্রশ্নগুলো করতে ইচ্ছা করছে, আমরা কতটা আধুনিক হতে পেরেছি? এ কেমন পৃথিবী? পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি?’
রোনালদো লিখেছেন, ‘এসব ধ্বংসাত্মক কথার বিরুদ্ধেই আমার এই চিঠি। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসো! গোলের ক্ষুধা আরও বাড়ুক। মাঠ ও মাঠের বাইরে তুমি যেসব ভালো কাজ কর, সেসব মানুষের ঈর্ষার চেয়ে অনেক গুণে ভালো। কখনো ভুলো না বিশ্ব ফুটবলে তুমি কোথায় আছ। ব্রাজিল তোমাকে ভালোবাসে! তোমার গোল, ড্রিবল, সাহসিকতা ও খেলায় আনন্দ—এসব দেখতে চায় ব্রাজিলের সত্যিকারের সমর্থকেরা। কাপুরুষ ও হিংসুকদের এত গুরুত্ব দিও না। দেশের মানুষের ভালোবাসা উপভোগ কর। তুমি ঘুরে দাঁড়াবেই।’ রোনালদো চিঠির শেষ অনুচ্ছেদে লিখেছেন, ‘এই চিঠি যাঁরা পড়েছেন সবাইকে অনুরোধ করছি নেইমার, দানিলো ও ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রতি ইতিবাচক বার্তা পাঠান।’
সারাবাংলা/এসএইচএস