হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, জিতেও বাদ পড়ল তিউনিশিয়া
৩০ নভেম্বর ২০২২ ২৩:০১
খাতা কলমে, ইতিহাস ঐতিহ্য ফুটবলীয় সব দিক থেকেই ফ্রান্সের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে তিউনিশিয়া। মাঠে নামার আগে ফেভারিট দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সই। তবে কাতারে নতুন এক ইতিহাস লিখেছে তিউনিশিয়া। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে ওহাবি খাজরি গোল করে তিউনিশিয়াকে লিড এনে দেন। আর সেই লিড ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিউনিশিয়া।
ফ্রান্সকে হারিয়ে গ্রুপের তিনে থেকে শেষ করে তিউনিশিয়া। অবশ্য সুযোগ ছিল পরের পর্বে যাওয়ারও। কিন্তু সে জন্য তাকিয়ে থাকতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের মধ্যকার ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচটি ড্র হলে শেষ ষোলোর টিকিট পেত তিউনিশিয়া। তবে তা আর হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ডেনমার্ককে। আর তাতেই ফ্রান্সের সঙ্গে পরের পর্বে টিকিট কেটেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া আর ডেনমার্ককে হারিয়ে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় ফ্রান্সের। তাই তো মূল একাদশ থেকে মাত্র দুই খেলোয়াড় রেখে বাকি সবাইকে বিশ্রামে পাঠান দিদিয়ের দেশাম্প। মূল একাদশ থেকে এদিন শুরুর একাদশে ছিলেন কেবল রাফায়েল ভারান আর অরেলিয়ে চুয়ামেনি। যদিও শেষে এসে গ্রিজম্যান, এমবাপেদের মাঠে নামিয়েছিলেন কিন্তু তখন দেরি হয়ে গিয়েছিলেন অনেক।
ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পেলে আর অন্যদিকে ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হলে বিশ্বকাপের নকআউটে জায়গা করে নেবে তিউনিশিয়া। নিজেদের কাজটা ঠিকই করেছে তারা কিন্তু ডেনমার্কের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে পরের পর্বে ফ্রান্সের সঙ্গী হয়েছে সকারুরা। আর দুর্দান্ত জয় পেয়েও গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে তিউনিশিয়াকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে ছিলো ফ্রান্সই। তবে বাঁচা-মরার ম্যাচে মাত্র ৯ মিনিটেই ফ্রান্সের জালে বলও জড়ায় তিউনিশিয়া। তবে নাদের ঘান্দ্রির সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর থেকে বল দখলে প্রায় সমান সমান হলেও বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি কোনো দলই। প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোলে একটিও শট নিতে পারেনি ফ্রান্স।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ আক্রমণে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। এরপর ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে এসে পেয়ে যায় কাঙ্খিত গোল। আইসা লাইদৌনির অ্যাসিস্ট থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে তিউনিশিয়াকে লিড এনে দেন ওহাবি খাজরি। এরপর কেবল ফ্রান্সের আক্রমণ রুখেছে তিউনিশিয়া। তবে ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকতে দলের প্রধান খেলোয়াড়দের নামাতে শুরু করেন দিদিয়ের দেশাম্প।
কিলিয়ান এমবাপে, অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, ওসমান দেম্বেলে, র্যাবিওটদের মাঠে নামিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় ফ্রান্স। একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও আর গোলের দেখা মিলছিল না ফ্রান্সের। খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের ৮ম মিনিটে অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান। তবে ভিএআর দেখে রেফারি গোল বাতিল করেন। আর তাতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিউনিশিয়া
অস্ট্রেলিয়া ১-০ গোলের জয় নিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের টিকিট কাটে। গ্রুপ ডি থেকে তিন ম্যাচে দুই জয় আর এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে পরের পর্বে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ফ্রান্সও দুই জয় আর এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পরের পর্বে গেছে চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
সারাবাংলা/এসএস