ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে দেখা যাবে নতুন এক ব্রাজিলকে
২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:১১
গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে ব্রাজিলের। সে হিসেবে তৃতীয় ম্যাচটা নিয়ে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমের খবর, ক্যামেরুনের বিপক্ষে আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকা ফুটবলারদের বাজিয়ে দেখতে চান তিতে।
ক্লাব ফুটবলে সম্প্রতি দারুণ ফর্মে থাকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রদ্রিগো, অ্যান্থনিও, ফেডের মতো ফুটবলাররা ব্রাজিলের নিয়মিত একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না। আজ তাদের মাঠে নামার সুযোগ করে দিতে চান ব্রাজিল কোচ।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, পরিবর্তনের শুরুটা হতে পারে গোলবার থেকেই। অ্যালিসন বেকারের জায়গায় আজ গোলবারের নিচে দাঁড়াতে পারেন ম্যানচেস্টার সিটির দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এদেরসন। আক্রমণভাগে ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেজের মাঠে নামা প্রায় নিশ্চিত।
প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ আলভেজের। আজ তাকে সুযোগ দিতে চান তিতে। আজকের ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বও আলভেজের কাঁধে থাকছে বলে খবর।
মাঝমাঠে ফ্রেড খেলতে পারেন শুরুর একাদশে। নেইমার আগে থেকেই চোটের কারণে মাঠের বাইরে। তার অনুপস্থিতিতে রাফিনিয়া, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও লুকাস পাকেতাকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজাচ্ছিলেন তিতে। আজ এই চারজনই পেতে পারেন বিশ্রাম। তাদের জায়গায় মাঠে নামতে পারেন তরুণ রদ্রিগো, অ্যান্থিনিও, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
শেষ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের খবর যদি সত্যি হয় তাহলে একটা রেকর্ডই হয়ে যাবে। রদ্রিগো, অ্যান্থিনিও, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, আক্রমণভাগের এই চার ফুটবলারের বয়সের গড় ২২.৯ বছর। বিশ্বকাপে গত ৬০ বছর এতো কম বয়সের আক্রমণভাগ নিয়ে খেলেনি ব্রাজিল।
সেক্ষেত্রে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলের ব্রাজিলের রেকর্ড ভেঙে যাবে। পেলে, গারিঞ্চা, মারিও জাগালো ও মাজ্জোলা- এই চারজনকে নিয়ে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ সাজানো হয়েছিল। তাদের বয়সের গড় ছিল ২২.২। এর মধ্যে কিংবদন্তি পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস।
সারাবাংলা/এসএইচএস