কাতার বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা: ফিফা সভাপতি
৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৫১
কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা বলে মন্তব্য করেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। গ্রুপ পর্ব এবং শেষ ষোলোর ম্যাচ শেষে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক টেলিভিশন এবং অনলাইন দর্শক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া মাঠে দর্শকের উপস্থিতিও সন্তোষজনক বলে জানান ইনফান্তিনো। ফিফা সভাপতি গ্রুপ পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩২ দলের খেলার মান নিয়েও প্রশংসা করেন।
ইনফান্তিনো বলেন, আমি সব ম্যাচই দেখেছি। আসলে পরিষ্কার করে বলতে গেলে, এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা গ্রুপ পর্ব ছিল। ম্যাচগুলো দুর্দান্ত মানের স্টেডিয়ামে হয়েছে, যা আমরা আগে থেকেই জানতাম। তার উপরে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল অবিশ্বাস্য। প্রতি ম্যাচে গড়ে ৫১ হাজারের বেশি দর্শক হয়েছে এবার।
ফিফা সভাপতি বলেন, এবার আমরা সবমিলিয়ে (টেলিভিশনসহ) দুইশো কোটির বেশি দর্শক পেয়েছি, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। দোহার রাস্তায় ২৫ লাখ মানুষ এবং স্টেডিয়ামে প্রতিদিন লাখো মানুষ, সবাই একসঙ্গে উল্লাস করছে। তাদের দলকে সমর্থন করছে। একটি দুর্দান্ত পরিবেশ, অবিশ্বাস্য উত্তেজনা এবং বিস্ময়।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার নকআউট পর্বে সব মহাদেশের প্রতিনিধি ছিল। এশিয়া ও আফ্রিকার দলগুলো ইউরোপ-দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোকে হারিয়েছে। এ বিষয়টি সামনে এনে ফিফা সভাপতি বলেন, এখন আর ছোট দল বা বড় দল নেই। দলগুলোর স্তর খুবই সমান। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সবকটি মহাদেশ থেকে জাতীয় দল নকআউট পর্বে প্রতিনিধিত্ব করেছে। এর অর্থ হলো-ফুটবল খেলা এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ছুটির দিন বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট।
ইনফান্তিনো আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি নিশ্চিত যে আমরা বিশ্বব্যাপী পাঁচশো কোটি দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারব। এবার স্টেডিয়ামে উপস্থিতির বিষয়ে বলতে হবে, সবগুলোই সব ম্যাচে পূর্ণ ছিল।
এক দশক আগে বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ হিসেবে কাতারের নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। কাতারের গরম আবহাওয়া শুরুতে ছিল সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। পরে বিশ্বকাপের সময়সূচি কয়েক মাস পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বরে ঠিক করা হয়। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে কাতার সাতটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করেছে। এর ছয়টিই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এছাড়া বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাস্তাঘাট, হোটেল, পার্ক, শপিং মল তৈরি করেছে কাতার।
তবে বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে কয়েক হাজার শ্রমিকের প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। এ কারণে কাতার বিশ্বকাপ পশ্চিমে তুমুল সমালোচিত। তবে ফিফা সভাপতি বিশ্বকাপ শুরু থেকেই আয়োজক দেশ কাতারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
সারাবাংলা/আইই/এসএস
কাতার বিশ্বকাপ জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ সেরা বিশ্বকাপ