সুযোগ পেলে পূর্ণমেয়াদে অধিনায়কত্ব করতে চান লিটন
১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:২৭
চট্টগ্রাম থেকে: অধিনায়কত্বের টুকটাক অভিজ্ঞতা আগেই হয়েছিল লিটন দাসের। অনেক আগে থেকেই টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেনও। তবে এবারের সুযোগটা ছিল বড়। ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের ইনজুরিতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল তার কাঁধে। দায়িত্বটা দুর্দান্ত ভাবে পালন করা লিটন আগ্রহ প্রকাশ করলেন পূর্ণমেয়াদের অধিনায়কত্বে।
ভারত সিরিজ লিটনের অধিনায়কত্ব প্রসংশা কুড়িয়েছে। মাঠে সরব ছিলেন। বোলিং পরিবর্তন এবং ফিল্ডিং সাজানোও ছিল দারুণ। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেই দিয়েছেন ‘লিটনের অধিনায়কত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
পরপর দুই ওয়ানডে জিতে আগেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ কাল তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলতে পারেনি। হেরেছে ২২৭ রানের বড় ব্যবধানে।
তৃতীয় ম্যাচ শেষে লিটনের কাছে প্রশ্ন ছুটে গেল, পূর্ণমেয়াদে অধিনায়কত্ব পেতে চান কিনা? লিটনের জবাব, ‘অবশ্যই। যদি বিসিবি আমাকে সুযোগ দেয়, আমি করবো। আমি আজকে খুশি নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
সিরিজে আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্বের বার্তা দিয়েছেন লিটন। শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৪০৯ রান তুলেছিল ভারত। তবুও জয়ের জন্যই পরে লড়েছে বাংলাদেশ।
বড় টার্গেট তাড়া করে জিততে হলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতেই হবে। আর সেটা করতে গিয়েই ১৮২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে সাবধানে এগুলে নিশ্চয় আরও বড় স্কোর গড়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে হারের ব্যবধানটা কম হতো। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে হলেও জয় ছাড়া বিকল্প পথে হাঁটতে চায়নি লিটনের দল।
ম্যাচ শেষে সেটাই বলছিলেন লিটন, ‘দেখুন আপনি যখন ৪০০ রান তাড়া করবেন আপনাকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতেই হবে। হ্যাঁ, আমরা যদি জয়ের চিন্তা না করে খেলতাম তাহলে হয়তো বেশ বড় স্কোর করতে পারতাম। উইকেটে শিশির পরেছিল, আমরা সাবধানে খেললে কিছু রান পেতাম। কিন্তু আমরা জয়ের চিন্তা করেই মাঠে নেমেছি। আর আপনি যখন আক্রমণ করবেন, কিছু সময় উইকেট চলেই যাবে। যদি জিনিসটা এমন হতো ২০ ওভারে ১২০ রানে ১ উইকেট; তখন ব্যাপারটা আলাদা হতো। এটা আমরা করতে পারিনি। পরে যদি কখনো এমন অবস্থা হয় ৩৬০-৭০ হয়, এরকম ক্রিকেটই খেলবো।’
লিটন বললেন, অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকেই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস তার জন্মেছিল। বলেছেন, ‘প্রথম সংবাদ সম্মেলনে একটা কথা বলেছিলাম, ওই বিশ্বাসটা আছে। কে যেন প্রশ্ন করেছিল ট্রফি রাখতে চান কি না, আমি বলেছিলাম অবশ্যই। অধিনায়ক হিসেবে অথবা ক্রিকেটার, যখন অংশ নেবেন। এরকম বড় সিরিজ জেতার আশা করবেনই।’
সারাবাংলা/এসএইচএস