Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইশ, যদি ক্যাচটা মিস না হতো…

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৫৪

ঢাকা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। ১৪৫ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়ে ৭৪ রানেই ভারতের সাত উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অষ্টম উইকেটে অপরাজিত ৭১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন চুর্ণ করে দিয়েছেন ভারতের দুই ব্যাটার শ্রেয়াস আয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

৬২ বলে ৪২ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে বড় অবদানটা রেখেছেন অশ্বিন। অথচ এই অশ্বিন ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ১ রানের মাথায়। মেহেদি হাসান মিরাজের বল অশ্বিনর ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠেছিল। কিন্তু শর্ট লেগে সেই ক্যাচ নিতে পারেননি মুমিনুল হক। ক্যাচটা অবশ্য খুব সহজও ছিল না।

বিজ্ঞাপন

সেই সময় অশ্বিন ফিরলে ভারতের লেজ বেড়িয়ে পড়ত। এরপর ব্যাটিং করতে আসতেন উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ। দুই পেসারই ব্যাটিংয়ে সুবিধার নয়। ফলে জয়ের ভালো সুযোগই তৈরি হতো বাংলাদেশের। ঢাকা টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এর আগেও ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। প্রথম ইনিংসে রিশভ পন্ত ও শ্রেয়াস আয়ারের ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ। এই দুজনের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত তিনশর বেশি রান তুলতে পেরেছে ভারত। শুধু এই টেস্ট নয়, সম্প্রতি ক্যাচ মিস যেন নিয়মেই পরিনত করে ফেলেছেন বাংলাদিশ ফিল্ডাররা। ম্যাচ শেষে এই হতাশা ফুটে উঠল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মিস ফিল্ডিং নিয়ে সাকিব বলছিলেন, ‘এটা অবশ্যই হতাশার। কারণ এগুলোই হয়তো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমরা যদি প্রথম ইনিংসেও ক্যাচগুলো নিতে পারতমা তাহলে ওদের ৩১৪ না হয়ে ২৫০ ও হতে পারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও চান্স ছিল। যদিও এটা ক্রিকেটের অংশ তবে হতাশার। কারণ আমরা যেভাবে মিসগুলো করি অন্যন্যা দলগুলো তেমন মিস করে না।’

বিজ্ঞাপন

ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে পারলে দলের জয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকবে মনে করছেন সাকিব। এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘কনসেনটেশনের সমস্যা বা ফিটনেসের সমস্যা থাকতে পারে। তবে আমাদের এই জায়গাগুলো নির্ধারণ করতে হবে যাতে লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। আমরা খুবই সাধারণ জিনিসগুলো মিস করে ফেলি যেগুলো অন্য দলগুলো করে না। এগুলোতে উন্নতি করতে পারলে… আমার মনে হয় আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। দেখেন, আমরা রান কিন্তু খুব একটা কম বেশি করছি না। অতএব এই জিনিসগুলো (ফিল্ডিং) পিছিয়ে দিচ্ছে। আমাদের বোলারদের ১০ উইকেট পেতে হলে ১৩-১৪টা সুযোগ তৈরি করতে হচ্ছে। কিন্তু অন্য দলে আপনি দেখছেন ১০টা সুযোগ তৈরি করলে ১০টা উইকেটই পাচ্ছে।’

৭৪ রানে সাত উইকেট পরে যাওয়ার পর বড় চাপেই পড়েছিল ভারত। তারপর আর একটা উইকেট হলেই হয়ে যেতো মনে করছেন সাকিব, ‘আর একটা উইকেট হলেই হয়ে যেতো। তবে আমার মনে হয় ওই সময় অশ্বিন ও আইয়ার খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট একদমই সহজ ছিল না। তারপর তারা দুইজন যেভাবে ব্যাটিং করেছে, ওদের কৃতিত্ব দিতেই হয়।’

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২২৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩১ রান তোলে। ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩১৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে তিন উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে ভারত।

সারাবাংলা/এসএইচএস

বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ ২০২২ সাকিব আল হাসান

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর