যা-তা ব্যাটিংয়ে ৮৯ রানেই থেমে গেল চট্টগ্রাম
৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৮
একটা ‘যা-তা অবস্থা’ নবম বিপিএল শুরু দুদিন আগে টুর্নামেন্টের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এমন কথা বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা চট্টগ্রামের ব্যাটিংটাও হলো যেন যা-তা! পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করলেও ৮৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম। আধুনিক মারকাটারি টি-টোয়েন্টিতে এমন স্কোর সচরাচর চোখে পড়ে না।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধণী খেলা মাঠে গড়িয়েছে দুপুর ২টায়। পৌষের শেষ ভাগে দুপুরের পরও আকাশে কড়া রোদ নেই। হালকা শীতল বাতাসে শীতটা যেন জেঁকে বসেছে। আবহাওয়া এমন হলে আগে বোলিং করা দলের সুবিধা পাওয়ারই কথা। সেই কথা বিবেচনা করেই হয়তো টস জিতে আগে বোলিং নিয়েছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু মাঠের খেলায় দেখা গেল কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে সিলেটের বোলাররা যতোটা না ভালো বোলিং করলেন তার চেয়ে বেশি বাজে ব্যাটিং করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলো চট্টগ্রামের ‘তারকাহীন’ ব্যাটিং লাইনআপ।
অনেকদিন পর ক্রিকেটে ফেরা মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রথম ওভারে ১ রান দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের বিপক্ষেও ১ রানের বেশি নিতে পারে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার। তবে তৃতীয় ওভারে চট্টগ্রামের ওপেনার মেহেদি মারুফ মাশরাফিকে সপাটে ছক্কা মেরে দিলে মনে হচ্ছিল, এই বুঝি টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং শুরু হলো। কিন্তু কিসে কী!
পুরো ইনিংস জুড়ে ছক্কা ওই একটাই। সেই ওভারেই রান আউট হয়েছেন ১১ রান করা মারুফ। এরপর বাকিদের ক্রিজে রানের জন্য হাঁসফাঁস করা এবং যাওয়া-আসার মিছিল। মারুফ ছাড়া চট্টগ্রামের হয়ে মাত্র দুজন দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পেরেছেন। আফিফ হোসেন ধ্রুব পাঁচে নেমে ২৩ বলে করেছেন ২৫ রান। তিনে নেমে আল-আমিন করেছেন ২০ বলে ১৮ রান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে থেমেছে চট্টগ্রাম। সিলেটের তরুণ পেসার রেজাউর রহমান রাজা ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। মাশরাফি ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট।
সারাবাংলা/এসএইচএস