Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুলনাকে হারিয়ে বিপিএল শুরু ঢাকার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫১

নবম বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জয়ের জন্য ঢাকা ডমিনেটরসের টার্গেট ছিল ১১৪ রানের। আধুনিক টি-টোয়েন্টি টার্গেটটা তেমন বড় না হলেও মিরপুরের পিচে এটাকে একদম মামুলি বলারও সুযোগ নেই। পরপর তিন উইকেট হারিয়ে দলীয় পঞ্চাশের পর চাপেও পড়েছিল ঢাকা। তবে শুরুতে দিলশান মুনায়ীরা ও পরে নাসির হোসেনের প্রতিরোধে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ঢাকা।

৫ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে খুলনার দেওয়া ১১৪ রানের টার্গেট পেরিয়ে যায় ঢাকা। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়া নাসির ৩৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ধাক্কা খায় ঢাকা। হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। খানিক বাদে তিনে নামা সৌম্য সরকারকেও আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ বিতর্কের পর সৌম্য সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি।

সৌম্য, দারুণ খেলতে থাকা দিলশান মুনায়ীরা ও মোহাম্মদ মিঠুন এই তিনজনকে মাত্র ১৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে বিপদে পরে ঢাকা। তবে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া নাসির মিডল অর্ডারে হাল ধরে সেই বিপদ কাটিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১১৭ রান তুলে ফেলে ঢাকা। নাসির ৩৬ বলে ৩৬ রান করতে চার মেরেছেন ৪টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করতে দিলশান ২৮ বল খেলে চার মেরেছেন ৩টি। খুলনার হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে খুলনার ইনিংসটিও এগিয়েছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। আগে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারছিলেন না খুলনার ব্যাটাররা। নাসির হোসেনকে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বিদায় শারজীল খান (৭)। দারুণ এক চার মেরে শুরু করা তিনে নামা মুনিম শাহরিয়ারও ফিরেছেন খানিক বাদে। তামিম ইকবাল বলের সঙ্গে রান তোলার ব্যবধানে চাপে পড়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রথম ১০ বলে ৩ রান তুলতে পেরেছিলেন তামিম। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতেই যেন একটু আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে চাইলেন। টিকতে পারেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ১৫ বলে ৮ রান করে। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে তামিম যখন ফিরলেন খুলনার রান তখন ২৮। স্লো উইকেটে পরেও এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি খুলনা।

অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি মিডল অর্ডারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান তুলতে খেলেছেন ২৫ বল। শেষ দিকে ৩ বলে ১০ রান তুলেছেন পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। এছাড়া আজম খান ১২ বলে ১৮ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২৮ বলে ১৯ রান করেছেন।

ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় চার উইকেট নিয়েছেন পেসার আল-আমিন হোসেন। নাসির হোসেন চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে ও আরাফাত সানি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

 

সারাবাংলা/এসএইচএস

নাসির হোসেন বিপিএল বিপিএল ২০২৩

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর