দুই পাকিস্তানির সেঞ্চুরির ম্যাচে চট্টগ্রামের দুর্দান্ত জয়
৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:২০
নবম বিপিএলের প্রথম পাঁচ ম্যাচে সেঞ্চুরি দূরের কথা হাফ সেঞ্চুরিই হয়েছিল মাত্র ৫টি। আজ ষষ্ঠ ম্যাচে সেঞ্চুরি হলো দুটি। দুই সেঞ্চুরিই এসেছে পাকিস্তানের দুই তরুণ ব্যাটারের ব্যাটে। খুলনা টাইগার্সের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আজম খান। পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি করেছেন উসমান খান। দুই খানের সেঞ্চুরির ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।
হার দিয়ে নবম বিপিএল শুরু করা চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে আজ পেল প্রথম জয়। অপর দিকে দুই ম্যাচে খেলে দুটিতেই হারল খুলনা।
নবম বিপিএলে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটাতে রান উঠছে। গতকাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের ১৯৪ রান তাড়া করে জিতেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আজ দ্বিতীয় ম্যাচও হলো বড় রানের।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) মিরপুরে খুলনা আগে ব্যাট করে ১৭৮ রান তুলে ফেললে অবশ্য মনে হয়নি পরে এতো বড় রান তাড়া করতে পারবে চট্টগ্রাম। দলে বড় কোনো ব্যাটার নেই। তাছাড়া মিরপুরের উইকেটে বড় রানের ম্যাচ কী আর প্রতিদিন দেখা যায়! কিন্তু উসমান খানের ব্যাটে লেখা হলো অন্য গল্প।
অপর ওপেনার ম্যাক্সওয়েল প্যাট্রিক ও’ডাউডেরও বড় অবদান। ঝড়ো ইনিংস খেলতে না পারলেও ওপেনিংয়ে উসমানের সঙ্গে ১৪১ রানের জুটি গড়েছেন তিনি। উসমান একপ্রান্তে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করেছেন, অপরপ্রান্ত থেকে উইকেট আগলে রেখে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ও’ডাউড।
দলীয় ১৪১ রানের মাথায় ৫০ বলে ৫৮ রান করে ফিরেছেন তিনি। বাকি কাজটুকু সাড়তে তিনে নামা আফিফ হোসেনকে (১০ বলে ৫ রান) তেমন কিছু করতেই দেননি উসামন। ১৯.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৭৯ রান তুলে ফেলে চট্টগ্রাম। উসমান তখন ১০৩ রানে অপরাজিত। এই রান করতে ৫৮ বল খেলে চার মেরেছেন ১০টি, ছক্কা ৫টি।
এর আগে খুলনার ইনিংসটা আজম খানের ব্যাটেই এগিয়েছে। আগে ব্যাটিং করতে নেমা দলটির হয়ে আজম খানের ব্যাটিং ঝড় শুরু হয়েছিল পরে। ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। শারজিল খান ৫ রান করে ফেরেন, ৬ রান করে ফিরেছেন তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহান।
অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল যাবো যাবো করে থাকলেও প্রত্যাশা মতো রান তুলতে পারছিলেন না। প্রথম ১০ বলে তামিমের রান ছিল ১! চারে নামা আজমকেও অপরপ্রান্তে শুরুতে ভয়ঙ্কর মনে হয়নি। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট হাতে রীতিমতো টর্নেডো তুলেছেন পাকিস্তানি তরুণ।
৩৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করতে আজম চার মেরেছিলেন ৪টি, ছক্কা ৩টি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৫৭ বলে। অর্থাৎ পরের পঞ্চাশ করতে মাত্র ২৪ বল খেলেছেন আজম। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে আজম চার মেরেছেন ৯টি, ছক্কা ৮টি।
তামিম ইকবাল শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৪০ রান করে আউট হয়েছেন। চার মেরেছেন ৫টি, ছক্কা ১টি। শেষ দিকে ৭ বলে ১০ রান করেছেন সাব্বির রহমান। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে থেমেছে খুলনা। চট্টগ্রামের হয়ে আবু জায়েদ রাহী ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।
সারাবাংলা/এসএইচএস