নবম বিপিএলে আরেকবার ব্যাট-বলে জ্বলে উঠলেন নাসির হোসেন। তবে অধিনায়ক পারফর্ম করলেও ভাগ্য বদলায়নি ঢাকা ডমিনেটরসের। সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে হেরেছে ঢাকা। বড় রানের ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ১৩ রানে জিতেছে বরিশাল।
নবম বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হারা বরিশালের এটা টানা পঞ্চম জয়। যাতে মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ধরে ফেলল বরিশাল। ছয় ম্যাচে সিলেটের পয়েন্টও ১০, বরিশালের পয়েন্টও ১০। অপর দিকে ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমে পঞ্চম হারের তেঁতো স্বাদ পেল ঢাকা ডমিনেটরস।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ১৭৩ রান তুলেছিল সাকিবের বরিশাল। পরে জবাব দিতে নেমে ঢাকার শুরুটা হয়েছে উড়ন্ত। শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার উসমান খান। তবে পাওয়ার প্লের পর ১৩ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে ঢাকা।
পরে নাসির হোসেন কার্যকরী এক ইনিংস খেললেও সেটা যথেষ্ট হয়নি। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানে থেমেছে ঢাকা। পাঁচে নামা নাসির তখন ৩৬ বলে ৩টি চার ২টি ছয়ে ৫৪ রানে অপরাজিত। ৩৮ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওপেনার উসমান খান ১৯ বলে ৩০ রান করেন।
এর আগে আজও বরিশালের ইনিংসটা গড়েছে সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে। আগের ম্যাচে পঞ্চম উইকেটে ১৯২ রান তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন দুজন। সেঞ্চুরি করেছিলেন ইফতিখার। আজও ব্যাট হেসেছে দুজনের।
৪৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে বরিশাল। তারপর ক্রিজে নেমেই ঝড় তোলেন সাকিব। আজ ইনিংসটা অবশ্য বড় করতে পারেননি। তবে তার ১৭ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ের সাহায্যে ৩০ রানের ইনিংস বরিশালকে এগিয়ে নিয়েছে অনেকটা।
ছয়ে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন ইফতিখার আহমেদও। ৩৪ বলে ৫টি চার ২টি ছয়ে ৫৬ রান তুলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তানি তারকা। ৩১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন বল হাতে ২ ওভারে ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন দুই উইকেট।