রংপুরের বোলিং তোপে সিলেটের পুঁজি ৯২
২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৩
রংপুরের বোলিং তোপের মুখে মাত্র ১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা এবং তানজিম হাসান সাকিব। তানজিম ৩৬ বলে ৪১ আর মাশরাফি ২১ বলে ২১ রান করলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯২ রান তোলে সিলেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার টম মুরসকে তুলে নেন আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। আর এপরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং লাইন আপ।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১২ রানের মাথায় ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তও (৯)। এরপর চতুর্থ ওভারে এসে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন আজমাতউল্লাহ ওমরজাই। প্রথমে তাওহিদ হৃদয় আর পরের বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ফেরেন কোনো রান না করেই।
পরের ওভারে এসে জাকির হাসান ফেরেন শেখ মেহেদির বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে। এতেই ১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। আর শঙ্কা জাগে সর্বোনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার লজ্জার। তবে এখানে শেষ হয়নি সিলেটের বিপর্যয়। ৭ম এবং ৯ম ওভারে যথাক্রমে থিসারা পেরেরা (৩) আর ইমাদ ওয়াসিম (১) রান করে দলীয় ১৭ ও ১৮ রানে ফেরেন। এতেই ১৮ রানে ৭ উইকেট হারায় সিলেট।
তবে ৮ম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা। ১৬তম ওভারে ২১ বলে দুটি ছক্কায় ২১ রান করে মাশরাফি যখন ফিরছেন তখন সিলেটের স্কোরবোর্ডে রান ৬৬। এরপর ১৯তম ওভার পর্যন্ত উইকেটে আঁকড়ে থেকে রানের চাকা সচল রাখেন তানজিম। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৩৬ বলে পাঁচটি চার আর দুটি ছক্কায় ৪১ রান করেন তানজিম।
শেষ দিকে আর কেউ রান তেমন রান করতে না পারায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯২ রান তুলতে পারে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন আজম্নতউল্লাহ ওমরজাই এবং হাসান মাহমুদ। এছাড়া দুটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান আর একটি উইকেট নেন হারিস রউফ।
সারাবাংলা/এসএস