মেহেদির ব্যাটে রংপুরের টানা তিন জয়
৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪০
কার্যকারী অফস্পিনের সঙ্গে দ্রুত রান তোলার ক্ষমতার কারণে একটা সময় জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন মেহেদি হাসান। অনেকদিন ধরে দলে অবশ্য নিয়মিত নয়। মেহেদি প্রত্যাশা মেটাতে পারছিলেন না বিপিএলেও। অবশেষে আজ দেখা মিলল চেনা মেহেদির। বল হাতে কিপটে বোলিং করার পর ব্যাট দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন। মেহেদির ৪৩ বলে ৭২ রানের ইনিংসটির কল্যাণে দারুণ এক জয় পেয়েছে তার দল রংপুর রাইডার্স।
আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান তুলেছিল ঢাকা ডমিনেটরস। পরে মেহেদির ব্যাটে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৪৬ রান তুলে ফেলেছে রংপুর। নবম বিপিএলে দলটির এটা টানা তিন জয়। সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচে পঞ্চম জয় পেল রংপুর। অপর দিকে নবম ম্যাচ খেলতে নেমে সপ্তমবার হারল ঢাকা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৪ রানের জবাব দিতে নেমে রংপুরের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। কোনো রান না তুলেই আউট হয়ে যায় দলটির তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের শক্ত একটা জুটি গড়ে তোলেন অপর ওপেনার রনি তালুকদার ও তিনে নামা মেহেদি হাসান।
রনি ২৮ বলে ২৯ রান করে দলীয় ৬৮ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলে পরপর উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। তবে মেহেদি একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন। ৪৩ বলে ৬টি চার ৫টি ছয়ে ৭২ রান করা মেহেদি দলীয় ১২৩ রানের মাথায় ফেরেন। বাকি কাজটা সেরেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ ও আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ উমরজাই।
১৫ বলে ১৭ রান কর অপরাজিত ছিলেন নাওয়াজ। ওমরজাই ৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ১২ রান করে।
এর আগে ঢাকার ১৪৪ রানের ইনিংসটিতে উসমান গনির বড় অবদান। মিজানুর রহমান ও সৌম্য সরকারকে নিয়ে গড়া ঢাকার ওপেনিং জুটি আজও সফল হতে পারেননি। দলীয় ১১ রানের মাথায় ৫ রান করে ফেরেন মিজানুর। তিনে নেমে ৫৫ বলে ৭ চার ৩ ছয়ে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন উসমান।
ফর্মে থাকা নাসির হোসেন শেষ দিকে ছোট তবে কার্যকারী একটি ইনিংস খেলেছেন। ২২ বলে ৩ চার ১ ছয়ে ২৯ রান করেছেন ঢাকার অধিনায়ক। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তোলে ঢাকা। রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ উমরজাই ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস