ধর্ষণ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ইউনাইটেড তারকা গ্রিনউড
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০১
২০২২ সালের জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ তারকা ফুটবলার মেসন গ্রিনউডের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তার বান্ধবী। এরপর তাকে আটক করে ম্যানচেস্টার পুলিশ। ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে যে, প্রধান সাক্ষীরা সরে যাওয়ায় গ্রিনউডের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ম্যানচেস্টার পুলিশ।
এতেই বান্ধবীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন গ্রিনউড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে আনা সব অপরাধমূলক অভিযোগ প্রত্যাহার করার বিষয়টি পুলিশ ও প্রসিকিউটররা বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের প্রধান মাইকেল কের বলেন, ‘সারা বিশ্বের সকল সংবাদমাধ্যমের এই ব্যাপারে আগ্রহের কারণে আমাদের মনে হয়েছে এই ব্যাপারটি সবার সামনে প্রকাশ করা উচিত। ২১ বছর বয়সী এই তরুণকে (মেসন গ্রিনউড) আটক করা হয়েছিল সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অনুসন্ধানে নামি আমরা। কিন্তু অনুসন্ধানে আমরা তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাইনি। এ কারণে তাকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল এই অভিযোগের ভিত্তিতে সকল তথ্য প্রমাণ সম্পর্কে অনুসন্ধান করা। তবে পরবর্তীতে সকল সাক্ষি এবং সাক্ষ্য প্রমাণ আমাদের হাতে আসে। সকল তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে আমরা তাকে (মেসন গ্রিনউড) আর দোষী সাব্যস্ত করতে পারছি না। আর তাই আমরা এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহিত দিচ্ছি।’
‘আমরা দুই পক্ষকেই আমাদের তথ্য প্রমাণের ব্যাপারে অবগত করেছি। তার বিরুদ্ধে আর কোনো ক্রিমিনাল অভিযোগ নেই।’—যোগ করেন তিনি।
গত বছর মেসন গ্রিনউডের বান্ধবী হ্যারিয়েট রবসনের কিছু রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেছিলেন গ্রিনউডের আক্রমণের শিকার হয়েই তার এই অবস্থা। গুরুতর এই অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রিনউডকে আটক করে ম্যানচেস্টার পুলিশ। সে সময় ম্যানচেস্টার পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীর শারীরিক নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও তারা আমলে নিয়েছে। এর ভিত্তিতেই ২০ বছরের এক যুবককে আটক করা হয়।
গ্রিনউডের বান্ধবী রবসন প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবি ও ভিডিও দিয়েছিলেন। যাতে তার মুখ থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়। পরে সেই ছবি ও ভিডিওগুলো মুছে ফেলা হয়। রবসনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইংলিশ ফুটবলারকে আটক করে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ। হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগেও তখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে ছাড়া পান গ্রিনউড। গত জুনে তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু শর্ত অমান্য করায় গত ১৫ অক্টোবর গ্রিনউডকে তার বাড়ি থেকে আবার আটক করা হয়। চারদিন বাদে ফের জামিনে ছাড়া পান তিনি।
সে সময় অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গ্রিনউডকে তৎক্ষণাৎ ক্লাব থেকে বহিষ্কার করে। সে সময় রেড ডেভিলরা কেবল তার খেলার ওপরেই নিষেধাজ্ঞা দেয়নি, সেই সঙ্গে ক্লাবটির অনুশীলনের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে কোনো প্রকার অনুশীলনও তিনি করতে পারবেন না।
কেবল ক্লাব থেকেই নয়। তার সঙ্গে যে নাইকির চুক্তি ছিল সেই চুক্তিও বাতিল করে নাইকি।
সারাবাংলা/এসএস