সোহানের ব্যাটে ঢাকাকে বিদায় করে শেষ চারে রংপুর
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৬
নবম বিপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জিততেই হতো ঢাকা ডমিনেটরসকে। কিন্তু আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩০ রানেই আটকে গিয়ে বিপদে পরে যায় ধারাবাহিকতায় ভুগতে থাকা দলটি। পরে বোলাররা ভালো করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দুর্দান্ত এক ফিফটি করে দলকে জিতিয়েছেন।
সোহানের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছে রংপুর। আগে ব্যাটিং করে ১৩০ রান তুলেছিল ঢাকা ডমিনেটরস। পরে ১৯.৩ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৩৩ রান তুলে ফেলে রংপুর। এই জয়ে নবম বিপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেল রংপুরের। অপর দিকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ঢাকার।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩০ রানের জবাব দিতে নেমে রংপুরের শুরুটাও অবশ্য স্বস্তিদায়ক হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান ওপেনার নাঈম শেখ। দলীয় ৯ রানের মাথায় ফিরেছেন তিনে নামা মেহেদি হাসানও।
তবে এবর অপর ওপেনার রনি তালুকদারের সঙ্গে অধিনায়ক নুরুল হাসানের দারুণ এক জুটি হয়েছে। তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রান তোলেন দুজন। রনি একপ্রান্ত আগলে রেখে এগিয়েছেন। আর অপর প্রান্তে থেকে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন সোহান। রংপুরের জয় তখন হাতের নাগালে।
এরপর অবশ্য হুট করেই ভড়কে দিয়েছিল ঢাকার বোলাররা। ৯ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট তুলে নেয় ঢাকা। ১২৪ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট হারায় দলটি। তাতে রোমাঞ্চ জন্মালেও কম স্কোর বলে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে রংপুরই।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া নুরুল হাসান সোহান ৩৩ বলে ৭টি চার ৩টি ছয়ে ৬১ রান করেছেন। রনি তালুকদার ৩৯ বলে ৩৪ রান করেন।
ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় চার উইকেট নিয়েছেন। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
এর আগে ব্যাটিং ভালো করতে পারেনি ঢাকা। শুরু থেকেই ধুঁকেছে ঢাকা। বড় জুটি হয়নি। ১১ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই মেরুদণ্ড ভেঙে যায় দলটির। পরে আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যালেক্স ব্লেক, আরিফুল হকরা বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি আবার ইনিংসও বড় করতে পারেননি।
শুরুতে বড় ধাক্কা খাওয়া ঢাকা পরেও অনেকটা নিয়েমিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। মিডল অর্ডারে ২৬ বলে ২ চার ১ ছয়ে ২৯ রান করা ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরার। ২৭ বলে ২৩ করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। অ্যালেক্স ব্লেক ১১ বলে করেছেন ১৮ রান।
শেষ দিকে বোলার শরিফুল ইসলাম ও আমির হামজারাও ব্যাট হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। যেটা ঢাকাকে বলার মতো একটা জায়গায় পৌঁছাতে বড় অবদান রেখেছে। শরিফুল ১৩ বলে ১১ ও আমির হামজা ১১ বলে ১৫ রান করেছেন। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে থেমেছে ঢাকা ডমিনেটরস।
রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২২ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন। হারিস রউফ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদি হাসান, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজও।
সারাবাংলা/এসএইচএস