Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কেইনের গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারাল টটেনহাম

স্পোর্টস ডেস্ক
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৩৫

সুযোগ ছিল এদিন লিগ লিডার আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর। তবে টটেনহাম হটস্পার্সের মাঠে হ্যারি কেইনের করা একমাত্র গোলে হেরে তা আর হলো ম্যানচেস্টার সিটির। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে এমিল হইবার্গের অ্যাসিস্ট থেকে রেকর্ড গড়া গোল করেন কেইন। আর তাতেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। স্পার্স মাঠ ছাড়ে ১-০ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়ে।

টটেনহামের কাছে এই হারটি চলতি প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির চতুর্থ হার। ২১ ম্যাচে ১৪ জয় আর তিন ড্র’তে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে এখনো লিগ টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে ম্যানসিটি। এক ম্যাচ বেশি খেলা স্পার্স ১২ জয়, তিন ড্র আর ৭ হারে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পাঁচে। আর ২০ ম্যাচে ১৬ জয়, দুই ড্র আর দুই হারে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ লিডার আর্সেনাল। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চারে নিউক্যাসল ইউনাইটেড।

বিজ্ঞাপন

ঠিক ১৫ দিন আগেই স্পার্সের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের প্রথম লেগের দেখা হয়। সে ম্যাচে স্পার্সকে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৪-২ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় পেপ গার্দিওলার সিটি। এরপর উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে জয়ের পর প্রিমিয়ার লিগে আবারও স্পার্সের বিপক্ষে মাঠে নামে সিটি। স্পার্সের স্টেডিয়ামে হ্যারি কেইনের করা গোলে সিটিকে এবার বাজিমাৎ দেয় অ্যান্তোনিও কন্তের দল।

২০২১/২২ মৌসুম জুড়ে মোট ৩৮টি ম্যাচে সিটির হারের সংখ্যা ছিল মাত্র তিনটি। সেখানে চলতি মৌসুমে ২১ নম্বরে ম্যাচে এসেই সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে সিটিজেনরা। এখন পর্যন্ত মোট চারটি ম্যাচে হেরেছে সিটি।

স্পার্সের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই সিটির জালে বল জড়ান কেইন। সিটির ডি বক্সের সামনে এমিল হইবার্গ বল জিতে থ্রু পাস দেন হ্যারি কেইনের উদ্দেশ্যে। এরপর জায়গা করে নিয়ে বল জালে জড়িয়ে স্পার্সকে লিড এনে দেন কেইন। আর তাতেই বনে যান স্পার্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেই সঙ্গে এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে কেইনের ২০০তম গোল।

বিজ্ঞাপন

পিছিয়ে পড়ার পর মরিয়া হয়ে সিটি। তবে কিছুতেই স্পার্সের রক্ষণদূর্গ ভেঙে এগোতে পারছিল না হুলিয়ান আলভারেজ এবং এর্লিং হালান্ড। তবে সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে। বাঁ দিক থেকে জ্যাক গ্রিলিশের বাড়ানো ক্রস স্পার্সের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দূর পোস্টে পেয়ে যান রিয়াদ মাহারেজ। সেখানে বল পেয়ে শট নেন মাহারেজ তবে বল গোলবারে লেগে প্রতিহত হলে সমতায় ফেরা হয়নি সিটিজেনদের।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১৫ মিনিট পরেই রিয়াদ মাহারেজকে তুলে নিয়ে কেভিন ডি ব্রুইনকে মাঠে নামেন পেপ গার্দিওলা। এবার আক্রমণের গতি বাড়ে সিটির। ডি ব্রুইনকে ঘিরে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে সিটি। তবে কিছুতে শেষটা টানতে পারছিল না হালান্ড-আলভারেজরা। ৬৮তম মিনিটে ডি ব্রুইনের বাড়ানো বল পেয়ে আলভারেজ শট নিলেও তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৬৯তম মিনিটে সন ও কেইনের দারুণ যুগোলবন্দিতে আক্রমণে যায় সিটি। তবে শেষ পর্যন্ত সিটির রক্ষণের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় গোল হজম করতে হয়নি। ৭৭তম মিনিটে দূরের পোস্টে ভেসে আসা বল ফাঁকায় থাকা স্বত্বেও হেড করতে পারেননি ডি ব্রুইন। তাতে সহজ এক সুযোগ হাতছাড়া হয় সিটিজেনদের। এরপর ম্যাচের শেষ দিকে এসে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতি আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে জ্যাক গ্রিলিশকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। ম্যাচের শেষ প্রায় ১০ মিনিট ১০ জনের দল নিয়ে খেলে স্পার্স।

শেষ দিকে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও আর গোলের দেখা পায়নি সিটি। আর তাতেই টটেনহাম হটস্পার্স ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

সারাবাংলা/এসএস

ইপিএল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টটেনহাম হটস্পার্স বনাম ম্যানচস্টার সিটি টপ নিউজ হ্যারি কেইন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর