ডর্টমুন্ডের মাঠে চেলসির হার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:১৮
সিগন্যাল ইদুনা পার্কে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে চেলসি। তবে পায়নি গোলের দেখা। অন্যদিকে সমানে সমান লড়াই করে ডর্টমুন্ড। একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত এক গোল করে জার্মান ক্লাবটিকে জয় এনে দেন করিম আদেমি। দুর্দান্ত খেলা চেলসি ভাগ্যকে এদিন দুষতেই পারেন। কেননা ক্রসবারে বল লেগে প্রতিহত হওয়ার পাশাপাশি গোললাইন থেকেও ফিরেছে বল। এতেই ম্যাচে গোল পাওয়া হয়নি অল ব্লুজদের।
আর শেষ ষোলোর প্রথম লেগে করিম আদেমির করা দুর্দান্ত গোলটিই পার্থক্য গড়ে চেলসি ও ডর্টমুন্ডের মধ্যে। ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডর্টমুন্ড। আর সেই সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েও থাকলো জার্মান ক্লাবটি। চেলসিকে হারিয়ে দীর্ঘ ১০ ম্যাচ পর ইংলিশ কোনো ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেল ডর্টমুন্ড। ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে খেলা শেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৮টি হার আর ড্র করেছে দুটি। ২০১৬ সালে টটেনহাম হটস্পার্সের বিপক্ষে ইউরোপা লিগে শেষবার জয় পেয়েছিল জার্মান ক্লাবটি। সেবার ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল তারা। আর এরপর প্রায় ছয় বছরের বেশি সময় পর ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেল ডর্টমুন্ড।
গোটা ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলেছে চেলসি। আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছে ডর্টমুন্ডের রক্ষণে। তবে বাকি রয়ে গেছে কেবল একটি গোল। ২১টি শট নেওয়া চেলসির ৮টিই ছিল লক্ষ্যে। আর একটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরেও আসে। অন্যদিকে ডর্টমুন্ডের ১৪ শটের ২টি লক্ষ্যে ছিল।
ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকে চেলসি। একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করতে থাকে অল ব্লুজরা। ৩১তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারান চেলসির জাও ফেলিক্স। হাকিম জিয়াশের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে ভালো পজিশনে থেকে উড়িয়ে মারেন তরুণ পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সাত মিনিট পর ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি চেলসি। আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে কাই হার্ভাটজের নেওয়া শট ক্রসবারে লাগে।
এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এসে লিড নেয় ডর্টমুন্ড। কর্নার থেকেই ডর্টমুন্ডের এগিয়ে যাওয়া গোলের উৎসের শুরু। সিলভার হেড ক্লিয়ার করে রাফায়েল গুয়েররো বাড়ান আদেমিকে। নিজেদের অর্ধ থেকে বল ধরে এগিয়ে চেলসির এনজো ফার্নান্দেজের বাধা এড়িয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে জাল খুঁজে নেন তরুণ জার্মান স্ট্রাইকার। ব্যাস! তাতেই ১-০ গোলের লিডে স্বাগতিকরা।
তবে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে আরও বেশি মরিয়া হয়ে ওঠে চেলসি। ৭৮তম মিনিটে রুবেন লফটাস চিকের পাসে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে কালিদু কুলিবালির শট গোলরক্ষক আটকে দিলেও বল যাচ্ছিল জালে। গোললাইন থেকে ফেরান মিডফিল্ডার এমরে কান। এরপর আর দুই দলের কেউই গোল পায়নি। এতেই ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডর্টমুন্ড।
শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আগামি ৭ মার্চ চেলসির ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সারাবাংলা/এসএস
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ নক আউট পর্ব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড বনাম শালকে শেষ ষোলো