ছেলেরা যেমন খেলেছে তার চেয়ে বেশি চাইতে পারি না: মাশরাফি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৭
নবম বিপিএলে মাঝারি মানের দল গড়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। অন্য দলগুলোর মতো স্কোয়াড তারকায় ঠাঁসা নয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ আমির, ইমাদ ওয়াসিম, থিসারা পেরেরা। যাদের কাউকেই বর্তমান সময়ের বড় তারকা বলা যাবে না। দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বড় নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। মাশরাফি সম্প্রতি ক্রিকেটও অনিয়মিত।
বড় বড় তারকা নয়, বরং অপরীক্ষিত তরুণ তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, রেজাউর রহমান রাজা, তানজিব হাসান সাকিদের নিয়ে দল সাজিয়েছিল সিলেট। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আধারাবাহিক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন সিলেটে। কিন্তু সেই দলটাই কিনা ফাইনাল খেলল। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে সিলেটের তরুণরাই চমকে দিয়েছে। শিরোপা অবশ্য জিততে পারেনি সিলেট। কাল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে। মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, এমন দল নিয়েও তারা যেমন খেলেছেন তার চেয়ে বেশি আশা করা যায় না।
মাশরাফির নেতৃত্বে তরুণ তৌহিদ হৃদয় অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ধারাবাহিক রান করেছেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫১৬ রান তুলে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন। হৃদয় তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তরুণ দুই পেসার তানজিব হাসান সাকিব ও রেজাউর রহমান রাজা। ফাইনালে না পারলেও তরুণদের এমন পারফর্মকে খাটো করার সুযোগ নেই। মাশরাফি কাল ফাইনাল শেষে তেমনটিই বলছিলেন।
ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক বলছিলেন, ‘দেখুন আমাদের একটা নির্দিষ্ট বাজেটের টিম। আমাদের যারা অনার ছিলেন তাদের জন্য এর বাইরে যাওয়ার আসলে সুযোগ ছিল না। তারপরও উনারা সেরাটা ট্রাই করেছেন। আর আমাদের প্লেয়ার যারা ছিল টপ অর্ডারের সবাই দেশের ব্যাটার নিয়ে আমরা খেলেছি। এবং তারা পারফর্মও করেছে। তারা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পেরেছে, এটা হয়তো তাদের ভবিষ্যদের জন্যও কাজে লাগবে। যেটা হয়েছে সেটা অনেক। ছেলেরা যেভাবে চেষ্টা করেছে তার চেয়ে বেশি আসলে আশা করা যায় না।’
ফাইনালে তার দলের ছেলেরা ভালোই খেলেছে বলেছেন মাশরাফি, ‘ফাইনালে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। আমরা ভালো খেলিনি সেটা আমি বলব না। ছেলেরা ভালোই খেলেছে কিন্তু প্যাসেজে হয়তো ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে চলে গেছে। শেষ ৪ ওভারে ৫২ রান লাগত ওদের। এমন অবস্থায় একটা ভালো ওভার হলে তাদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যেত, তারা চাপে পরে যেত। কিন্তু আমরা আসলে সেটা পারিনি।’
কাল ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে ১৭৫ রান তুলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। পরে ৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে ফাইনাল জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সারাবাংলা/এসএইচএস