১০ জনের অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষেও জিততে পারেনি রিয়াল
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:৩৭
লিগ লিডার বার্সেলোনার চেয়ে ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। আর এমন পরিস্থিতিতে মাদ্রিদ ডার্বিতে ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকোকে আতিথ্য দেয় রিয়াল। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে লাল কার্ড দেখে অ্যাঞ্জেল কোরেয়া মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দল নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট খেলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তবে ১০ জনের অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষেও গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। শেষ দিকে এসে তরুণ স্ট্রাইকার আলভারো রদ্রিগেজের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। তবে শেষ পর্যন্ত আর জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। এতেই ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।
এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে রুডিগারকে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যাঞ্জেল কোরেয়া। এরপরেই যেন জ্বলে ওঠে অ্যাটলেটিকো। ৭৮তম মিনিটে অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের নেওয়া সেটপিস থেকে উড়ে আসা বল লাফিয়ে উঠে হেড করে থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন হোসে হিমিনেজ। বার্নাব্যুতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। ৮৫ মিনিটে এসে লুকা মদ্রিচের নেওয়া কর্নার থেকে মাত্র ৭ মিনিটে আগে মাঠে নামা তরুণ স্ট্রাইকার আলভারো রদ্রিগেজ লাফিয়ে উঠে হেড করে বল জালে জড়ান। আর রিয়ালকে ১-১ গোলে সমতায় ফেরান। শেষ দিকে ভিনিসিয়াস এবং করিম বেনজেমা সুযোগ পেলেও আর গোল করতে পারেননি। এতেই ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়।
এই ম্যাচে ড্র করে বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল রিয়াল। ২৩ ম্যাচে ১৬ জয়, ৪ ড্র আর তিন হারে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। আর রিয়ালের সমান ২৩ ম্যাচ খেলা অ্যাটলেটিকো ৪২ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।
ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় রিয়াল। তবে টনি ক্রুসের কর্নারের হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অ্যান্তোনিও রুডিগার। ছয় মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে ইয়ান ওবলাককে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন মার্কো অ্যাসেন্সিও। তবে দারুণ রিফ্লেক্স দেখিয়ে উতরে যান আতলেতিকো গোলরক্ষক। একাদশ মিনিটে সুযোগ আসে করিম বেনজেমার সামনে। চমৎকার কারিকুরি দেখিয়ে এগিয়ে যাওয়া এদের মিলিতাও নিখুঁত ক্রসে খুঁজে নেন ফরাসি স্ট্রাইকারকে। পা বাড়িয়ে বল ছুঁয়েছিলেন বেনজেমা কিন্তু পারেননি লক্ষ্যে রাখতে।
প্রতিপক্ষের একজন কম থাকার সুবিধা কাজে লাগাতে আরেকটু বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করে রিয়াল। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের জন্য কোনো শটই নিতে পারছিল না তারা। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে ৭৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। গ্রিজমানের ফ্রি কিকে সবার উঁচুতে লাফিয়ে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন ডিফেন্ডার হিমেনেস। ৮৪তম মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিলেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। খুব কাছ থেকে তার শট দারুণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। সেই কর্নার থেকেই দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত রদ্রিগেজ।
এরপর দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও আর জয়সূচক গোলটি পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। এতেই ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় মাদ্রিদ ডার্বি।
সারাবাংলা/এসএস