মিলিতাওয়ের আত্মঘাতী গোলে রিয়ালকে হারাল বার্সা
৩ মার্চ ২০২৩ ০৩:৫৬
গোটা ম্যাচজুড়ে বল দখল কিংবা আক্রমণ সবকিছুতেই এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বার্সেলোনার জমাট বাধা রক্ষণ টপকানো তো দূরের কথা। বার্সেলোনার গোলের লক্ষ্যে একটি শটও নিতে পারেনি করিম বেনজেমা-ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা। আর ম্যাচের ২৬ মিনিটে এডার মিলিতাওয়ের আত্মঘাতী গোল এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
আন্ডারডগ হিসেবেই কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালে রিয়ালের মাঠে আতিথ্য নেয় বার্সেলোনা। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাতে রিয়ালের মাঠ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে স্বস্তিতে বার্সা। এই নিয়ে টানা দুটি ক্লাসিকো জিতল জাভি হার্নান্দেজের দল। জানুয়ারিতে রিয়ালকে হারিয়েই স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিল বার্সেলোনা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের ৬৫ শতাংশ বলের দখলে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সার গোল বরাবর মোট ১৩টি শট নেয় রিয়াল। যার মধ্যে অবশ্য একটিও লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি রিয়ালের খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে মাত্র ৪টি শট নিয়ে দুটিই লক্ষ্যে রেখেছিল বার্সা। যার মধ্যে একটি গোল হয়েছে আর বাকি একটি শট বার্সা খেলোয়াড় আনসু ফাতি নিজেই রুখে ব্যবধান বাড়াতে বাধা দেয়।
চোট জর্জরিত বার্সেলোনা। দলের প্রধান তিন খেলোয়াড় রবার্ট লেভান্ডোফস্কি, পেদ্রি এবং উসমান দেম্বেলে নেই চোটের কারণে। ছিলেন না ডিফেন্ডার আন্দ্রেস ক্রিস্টিয়ানসেনও। তাই তো ম্যাচের আগেই বার্সেলোনা বেশ দুর্বল ছিল রিয়ালের সামনে।
তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণ সাজাতে থাকে রিয়াল। গোছালো কয়েকটি আক্রমণও করে তারা। ১২ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের করা ক্রস ডি বক্সের ভেতর বুক দিয়ে নামিয়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর ভিনিসিয়াস জুনিয়র বেশ কয়েকবার বাঁ দিক থেকে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও আরাহোকে টপকাতেই পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান।
রিয়ালের আক্রমণের জবাবটা আক্রমণ দিয়ে খুব একটা দিতে পারছিল না বার্সা। তবে থেকে থেকে প্রতি আক্রমণ করে যাচ্ছিল কাতালান ক্লাবটি। ম্যাচের ২৬তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডিবক্সে বল পেয়ে মিডফিল্ডার ফ্র্যাঙ্ক কেসির নেওয়া শট পা বাড়িয়ে দিয়ে কোনো রকমে ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তবে সেখান থেকে ফিরতি বল ডিফেন্ডার মিলিতাওয়ের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। রেফারি প্রথমে অফসাইড দিলেও পরবর্তীতে ভিএআর দেখে বার্সার পক্ষে গোল দেন।
প্রথমে লিড নিয়েও আক্রমণের ধার বাড়ায়নি বার্সা। অন্যদিকে রিয়ালও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে পারেনি। বার্সেলোনার জমাট রক্ষণ ভেদ করে কোনো শটই নিতে পারছিল না তারা। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে পাঁচটি শট নিলেও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে সেভাবে ভাবাতে পারেনি বেনজেমা-ভিনিসিয়াসরা।
প্রথমার্ধের হজম করা গোল শোধ দেওয়া তো দূরের কথা দ্বিতীয়ার্ধেও রিয়ালের মধ্যে দেখা যায়নি তেমন প্রচেষ্টা। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভালভার্দের দারুণ এক পাস ডি বক্সের ভেতর পেয়েও তা থেকে কিছুই করতে পারেননি ভিনিসিয়াস। ৭২তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় বার্সেলোনা। ডি বক্সে অরক্ষিত কেসির শট লক্ষ্যেই ছিল। তবে গোলমুখে দাঁড়িয়ে থাকা আনসু ফাতি যেন রিয়ালের ডিফেন্ডার হয়ে বল রুখে দিলেন। আর তাতেই ব্যবধান ২-০ করা হয়নি বার্সার। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দূর থেকে চেষ্টা করেন রদ্রিগো। তবে নাচো ফের্নান্দেসের বদলি নামা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শটও লক্ষ্যে থাকেনি।
আগামী ৫ এপ্রিল ন্যু ক্যাম্পে কোপা দেল রে’র দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। এর আগে অবশ্য লা লিগায় ১৯ মার্চ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সারাবাংলা/এসএস
এল ক্লাসিকো কোপা দেল রে বার্সার জয় রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনা