মেসি-এমবাপেদের বিদায় করে কোয়ার্টারে বায়ার্ন
৯ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪৭
পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন আরেকবার অপূর্ণ থেকে গেল। কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য দল গঠন করা ফরাসি ক্লাবটিকে এবারও ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। ফলে দ্বিতীয় লেগে জিততে হতো একাধিক গোলের ব্যবধানে। চোট পেয়ে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে থাকা নেইমারের অনুপস্থিতিতে সব দায়িত্ব ছিল লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপেদের কাঁধে। কিন্তু গোলই আদায় করতে পারেননি পিএসজির মহা-তারাকারা।
উল্টো বায়ার্নের মাঠে হেরেছে পিএসজি। আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। যাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানের হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল তারকাসমৃদ্ধ দলটির।
প্রথম লেগে বায়ার্নের হয়ে গোল করেছিলেন পিএসজির সাবেক খেলোয়াড় কিংসলি কোম্যান। দ্বিতীয় লেগেও বায়ার্নের জয়ের নায়ক পিএসজির সাবেক এক ফুটবলার! ২০২০ সালে পিএসজি থেকে বায়ার্নে নাম লিখিয়েছিলেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিং। তিনিই আজ প্রথম গোল এনে দেন বায়ার্নকে। শেষ দিকে আরেকটি গোল করেন সার্জ জিনাব্রি।
বার্য়ানের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বল দখলের লড়াইয়ে অবশ্য পিএসজি কিছু এগিয়ে ছিল। তবে শট নেওয়ার ক্ষেত্রে বায়ার্নই এগিয়ে। ১২ শট নিয়েছিল বায়ার্ন, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। অপর দিকে পিএসজি শট নিয়েছে ১০টি, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচে প্রথম গোলের সহজ সুযোগ পিএসজির সামনেই এসেছিল। ২৪ মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি। বিশ্বকাপজয়ী তারকার প্রথম শট বায়ার্নের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। দ্বিতীয়বার শট নিলে প্রতিহত করেন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ততক্ষণে বায়ার্নের ডিফেন্ডাররা ঘিরে ধরেন মেসিকে। তার তৃতীয় চেষ্টা আর কাজে আসেনি।
৩৭ মিনিটেও গোল পেতে পারত পিএসজি। বায়ার্ন গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে যান ভিতিনিয়া। গোলপোস্ট তখন ফাঁকা। কিন্তু দুর্বল শটে গোল করতে পারেননি ভিতিনিয়া। গোললাইন থেকে তার শট ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের সেন্টার ব্যাক ডি লিট। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে বায়ার্নের চুপো-মোতিং গোল করেন। কিন্তু অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়। ৬১ মিনিটে সেই চুপো-মোতিং গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ভেরাত্তির কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে গোয়েৎকাকে বাড়ান টমাস মুলার। গোয়েৎকা খুঁজে নেন ফাঁকায় দাঁড়ানো চুপো-মোতিংকে। ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন ক্যামেরুনের এই তরুণ।
গোল হজম করার পর মরিয়া হয়ে উঠে পিএসজি। কারণ টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে তাদের তখন গোল চাই-ই চাই। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে দলটি। এতে রক্ষণ খানিকটা আলগা হয়ে পরে। সেই সুযোগেই আরেকটা গোল আদায় করে নিয়েছে বায়ার্ন।
৮৯ মিনিটে সার্জ জিনাব্রির আরেকটা গোল করে পিএসজির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়। অবশ্য অতি আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়েও সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পিএসজি। বলতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধে মেসি-এমবাপেরা কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজির যে দুটি সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল তা সার্জিও রামোসের হেড থেকে। যার একটি ছিল লক্ষ্যে, অন্যটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
এদিকে বায়ার্নের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে এসি মিলান। টটেনহামের বিপক্ষে ফিরতি লেগে গোলশূন্য ড্র করেছে দলটি। প্রথম লেগে ইতালিয়ান ক্লাবটি জিতেছিল ১-০ গোলের ব্যবধানে। অর্থাৎ দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলো মিলানের।
সারাবাংলা/এসএইচএস
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিলিয়ান এমবাপে পিএসজি বায়ার্ন মিউনিখ লিওনেল মেসি