সাকিবের কণ্ঠে উল্লাস, শান্ত বললেন ‘বিশ্বাস ছিল পারব’
১৩ মার্চ ২০২৩ ০০:১১
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে টার্গেট ছিল মাত্র ১১৮ রানের। এই রান পেরিয়ে জিতলেও একটা সময় বেশ ভালোই বিপদে পরেছিল স্বাগতিকরা। ১০৬ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত শেষ পর্যন্ত অবিচল ছিলেন বলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিবের কণ্ঠে ঝড়ল স্লায়ুচাপ ধরে রাখার প্রসংশা। শান্ত বলেছেন, দলকে জেতাতে পারবেন এমন বিশ্বাস তার সব সময়ই ছিল।
প্রথমে বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা পাকা করে দিয়েছেন বোলাররা। আগে বোলিং করতে নেমে ইংলিশদের মাত্র ১১৭ রানেই আটকে রাখে বাংলাদেশ। ফিল সল্টের দারুণ শুরুর পর একটা সময় বেন ডাকেটের ব্যাটে বেশ ভালোই এগুচ্ছিল ইংল্যান্ড। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদরা সেখান থেকে লাগাম টেনে ধরেন। নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের গুটিয়ে দেন অল্পতেই।
পরে মাঝের ওভারে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলীয় ১০৬ রানের মাথায় হারিয়ে ফেলে ষষ্ঠ উইকেট। তবে তারপরও স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরেছেন স্বাগতিকরা। মেহেদি হাসান মিরাজ ও শেষ দিকে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন শান্ত।
ম্যাচ শেষে তরুণদের এমন পারফরম্যান্সে পঞ্চমুখ অধিনায়ক সাকিব, ‘ম্যাচটা সহজ ছিল না। এ ধরনের ম্যাচে স্নায়ু ধরে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্ত (নাজমুল হোসেন), মিরাজ (মেহেদী হাসান মিরাজ) দলের জন্য দুটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালোই ছিল। কিন্তু আমরা আমাদের স্নায়ু ধরে রেখেছিলাম। দলগত প্রচেষ্টাটা ছিল দারুণ।’
৪৭ বল খেলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪৬ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘একটু দুশ্চিন্তা ছিল। তবে এখান থেকে আমি ম্যাচটা জেতাতে পারব, এই বিশ্বাস ছিল। যেমন ব্যাটিং করছিলাম, অনেকক্ষণ উইকেটে ছিলাম, আমার মনে হচ্ছিল, যেকোনো অবস্থা থেকে আমি জেতাতে পারব।’
চলতি সিরিজের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে জয় ছিল না বাংলাদেশের। সেই দলটার বিপক্ষে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার জিতে সিরিজ জিতে নিল টাইগারদের। শান্ত বলেছেন এই জয় ভবিষ্যতে কাজে দিবে, ‘আমরা ভালো একটা দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলাম। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে, সামনের সিরিজগুলোতে অনেক সাহস দেবে। তবে উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস