Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুশির মতো এমন সেঞ্চুরি কাউকে করতে দেখেননি লিটন

স্পোর্টস ডেস্ক
২১ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৭

সোমবার (২০ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের পুঁজি গড়ার দিনে মুশফিকুর রহিম খেলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংসও। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটে ঝড় তোলা মুশফিক নিজের ক্যারিয়ারের তো বটেই, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন। আর এত নিচে নেমে এমন ইনিংস খেলে মুশফিক থমকে দিয়েছে লিটন দাসকে। এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন লিটন যে তিনি বলেই ফেলেছেন জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে এমন সেঞ্চুরি দেখেননি।

বিজ্ঞাপন

খেলা তখন ৫০তম ওভারের। প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর তাসকিন আহমেদ ব্যাট হাতে এসে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন মুশফিকুর রহিমকে। পরের বলে দুই রান নিয়ে মুশফিক পৌঁছে গেলেন ৯৩-তে। গোটা সিলেট স্টেডিয়াম তখন মুশফিকের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে। আজই কি বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন মুশি? পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে গেলেন ৯৭-তে। ৫ম বলটি থেকে আবারও দুই রান, এবার ৯৯-তে মুশি। শেষ বলে দরকার মাত্র ১ রানের। গ্রাহাম হিউমের করা লো ফুলটস বলটি ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে ভোঁ-দৌড় মুশফিকের। আর তাতেই ছুঁয়ে ফেললেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। মুশফিকুর রহিম দেখলেন ক্যারিয়ারের ৯ম ওডিআই সেঞ্চুরি। আর সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিও।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেবার ৬৩ বলে চারটি ছয় আর আটটি চারে ১০৪ রান করেন সাকিব। আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ বলে ১৪টি চার আর দুটি ছয়ে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম।

নিয়মিত চার কিংবা পাঁচে ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর রহিম। তবে নতুন কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের অধীনে নতুন দায়িত্বে আবির্ভুত মুশি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এখন ব্যাট করছেন ছয় নম্বরে। আর ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমেই একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই পজিশন থেকে এমন ইনিংস অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মুশফিক উইকেটে যান ৩৪তম ওভারে। ছয়ে বা এর পরে নেমে মুশফিকের আগে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরও পাঁচ জন। তারা হলেন অলক কাপালি, নাসির হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ইনিংসের এতো কম ওভার বাকি থাকতে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেননি কেউ। লিটনের খেলা অবস্থায় মিরাজ সেঞ্চুরি করেছেন আট নম্বরে নেমে।

তবুও মুশফিকের এই ইনিংসে বিমোহিত লিটন বলেন, ‘অনভূতি তো অনেক ভালো। সত্যি কথা বলতে আমি যতোদিন খেলছি, বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় শেষদিকে কেউ এমন সেঞ্চুরি করেনি। যখন দল থেকে কেউ এ রকম একটা সেঞ্চুরি করে, দেখলে অনেক ভালো লাগে। সিনিয়ররা কেউ করলে তো আরও ভালো লাগে। অবশ্যই মুশফিক ভাই যে ইনিংস খেলেছেন, দেখার মতো ছিল। আমি মনে করি শান্ত বা আমারটার থেকে সুন্দর।’

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিকের এই দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের রেকর্ড পুঁজি পায়। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির হানায় ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। তবে এই দুই ম্যাচ থেকে প্রাপ্তিই বেশি দেখছেন লিটন। আর এভাবেই খেলে যেতে চান তারা। লিটন বলেন, ‘শেষ দুই ম্যাচ ধরে আমরা যে পরিকল্পনা করছি, আমাদের ব্যাটিংয়ে সম্পূর্ণ সফল বলবো। পরের ম্যাচটা ভিন্ন হতে পারে। আমরা পরে ব্যাটিংও করতে পারি। আমরা তো চাই এটা হোক। সব ম্যাচে ৩০০ হয় না, ২৮০ প্লাস হয়। চাইবো তো সব সময় ভালো উইকেটে খেলি, ভালো ফল করি।’

সারাবাংলা/এসএস

বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড মুশফিকুর রহিম লিটন দাস সেঞ্চুরি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর