Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাকিবকে নিয়ে যতো আলোচনা-সমালোচনা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২৬ মার্চ ২০২৩ ২০:২৪

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের ঘটনা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশ নম্বর সেঞ্চুরি থেকে সাকিব আল হাসান মাত্র ৭ রান দুরে ছিলেন। হাতে সময় ছিল পর্যাপ্ত, প্রতিপক্ষ বোলারদের খেলছিলেনও দারুণ। মনে হচ্ছিল সাকিবের সেঞ্চুরি সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সাকিব সেঞ্চুরিটা সেদিন করতে পারেননি। আয়ারল্যান্ডের পেসার গ্রাহাম হিউম সাকিবের বিপক্ষে বলটা ফেলেছিলেন ওয়াইড ইয়র্কারে।‌ ‘আলসে’ ভঙ্গিতে’ শট খেলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব, আউট। আউট হওয়ার পর সাকিবের চোখেমুখে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের বিন্দুমাত্র হতাশা বা আক্ষেপের লেশমাত্র দেখা গেল না। হয়তো ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটছিলেন আর মনে মনে ভাবছিলেন ‌’যা হবার হয়েছে, অতো ভাবার কিছু নেই!’ সাকিব সব কিছুতেই সম্ভবত এমন! যা ইচ্ছে হলো করে ফেললাম, অতো ভাবার কিছু নেই!

কদিন ধরে দেশে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিটির নাম সাকিব আল হাসান। সাকিব যে দেশের সবচেয়ে বড় ‘তারকা’ তা নিয়ে আপত্তি করবেন না হয়তো তেমন কেউ। সবচেয়ে বড় তারকা আলোচনায় থাকবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র মাঝেমধ্যেই আলোচিত হন নেতিবাচক ঘটনায়। কদিন ধরে সাকিবকে নিয়ে বেশি চর্চা চলছে এই নেতিবাচক কাণ্ডেই।

এই কদিনে তার ইতিবাচক ঘটনাও অবশ্য কম ছিল না। গত ইংল্যান্ড সিরিজে পরপর দুই ওয়ানডে হেরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে অনেকটা একাই হারিয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের ‘লজ্জা’ থেকে বাঁচিয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৭৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পর বল হাতে মাত্র ৩৫ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।

তারপর সাকিবের বাংলাদেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। সেই দলটাকেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল সাকিবের বাংলাদেশ, সাকিব যেখানে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকে।

তার পরপর শুরু হওয়া আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সাকিবের ৯৩ রানের সেই অসাধারণ ইনিংস। যাতে বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭০০০ রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ অর্জন করেছেন সাকিব। পরের দিনই গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট পেয়েছেন। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন সাকিব। ৯৩ রানের ইনিংস খেলার পরের দিনই সিলেট থেকে ঢাকা ফিরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তনে যোগ দিয়ে নিজে হাতে নিয়েছেন সার্টিফিকেট।

সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে বলেছিলেন, ‘টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার সময় যে অনুভূতি হয়েছিল, আমার এখনকার অনুভূতিটা সে রকমই। আমি ক্রিকেটে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। কিন্তু পড়াশুনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সার্টিফিকেট পাওয়ার স্বপ্নটা আমার সব সময়ই ছিল।’ কয়েক দিনের ব্যবধানে সাকিবের কতো কতো অর্জন, কতো কতো সুনাম, ঈর্ষণীয়ও বটে! কিন্তু এসবের মাঝে এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে এসেছেন তুলকালাম চলছে সেটা নিয়েই। সেই কাণ্ড এসব অর্জনের সব আলোর সামনে যেন ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে!

ইংল্যান্ড সিরিজ যেদিন শেষ হলো সেদিনই দুবাইয়ে একটি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নতুন শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন সাকিব। জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরাভ খানের বিরুদ্ধে ১২টির মতো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। এ বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সাকিবকে সতর্কও করে রেখেছিল। তবুও সেখানে সাকিবের উপস্থিত হওয়া নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে সাকিবকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) নড়েচড়ে বসেছে। বোর্ড থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে চলতি আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে সাকিবের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। এই ঘটনা কতদূর এগোয় বা সাকিবকে কতোটা মূল্য দিতে হয় সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে সাকিবের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড কিন্তু এই প্রথম নয়। বহুবার বহু বিতর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।

২০২২ সালের আগস্ট, বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

গত বছরের আগস্টে বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের পণ্য দূত হিসেবে মোটা অংকের চুক্তি করেছিলেন সাকিব, শর্ত মতে বিসিবির অনুমতিও নেননি। কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার আগে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বিসিবির অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। বেটিং বাংলাদেশের আইনে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ক্রিকেট বোর্ডের নীতিরও পরিপন্থি। সে হিসেবে বেটিং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কও বিসিবির নীতির পরিপন্থি। এতোকিছুর পরও সাকিব চুক্তি করে তুমুল সমালোচিত হয়েছিলেন। বিসিবির পক্ষ থেকে চুক্তি ভঙ্গ করতে বলা হলে তখন প্রথমে রাজিও হননি সাকিব।

নানান জলগোলার পর চুক্তি ভঙ্গ করতে রাজি হলে তাকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়।

২০১৪ সাল, টিভি ক্যামেরায় অশালীন ভঙ্গি

মিরপুরে এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচে ছক্কা মারতে গিয়ে লং-অফে ক্যাচ আউট হন সাকিব। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী তার সেই শট ছিল একদমই বেমানান। সাকিব প্যাভিলিয়নে বসে থাকার সময় ধারাভাষ্যকাররা আলোচনা করছিলেন বিষয়টি। টিভি ক্যামেরা ঘুরে যায় সাকিবের দিকে। সেই সরাসরি সম্প্রচারে প্রকাশ অযোগ্য অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন সাকিব। সমালোচনার ঝড় উঠে চারিদিকে।

শোনা যাচ্ছিল, এমন কাণ্ডে বড় শাস্তিই পেতে যাচ্ছেন সাকিব। লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও তিন লাখ টাকা জড়িমানাতেই সেবার পার পেয়ে যান।

২০১৪ সাল, দর্শককে মারধর

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা গ্যালারিতে বসে দেখছিলেন সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশির। দর্শকসারি থেকে একজন উত্ত্যক্ত করেন শিশিরকে। পরে সাকিব গিয়ে পিটিয়েছিলেন সেই দর্শককে। বিষয়টি পরে থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। ওই ঘটনায় সমালোচিত হন সাকিব। ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে কিভাবে একজন ক্রিকেটার গ্যালারি পর্যন্ত যেতে পারেন তা নিয়ে তখন বড় প্রশ্ন উঠেছিল। শোনা যাচ্ছিল, ওই কাণ্ডে শাস্তি পেতে হবে সাকিবকে। তবে শেষ পর্যন্ত শাস্তি পেতে হয়নি তাকে।

২০১৫ সাল, আম্পায়ারকে শাসিয়ে নিষিদ্ধ

২০১৫ সালের বিপিএলে সিলেট সুপার স্টার্স-রংপুর রাইডার্স ম্যাচে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের একটি সিদ্ধান্ত পছন্দ হয় না সাকিবের। মাঠেই সরাসরি সম্প্রচারে আম্পায়ারকে শাসান সাকিব। বিতর্কের ঝড় উঠে বিষয়টি নিয়ে। বড় শাস্তির কথা শোনা যাচ্ছিল সাকিবের। তবে শেষ পর্যন্ত ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যান তিনি।

২০১৭ সাল, ছয় মাসের ছুটি চাওয়া

মানসিক অবসাদের কথা জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে হঠাৎ-ই ছয় মাসের ছুটি চেয়ে বসেন সাকিব। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে চলেছেন বলে তার ছুটি চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তৎকালীন হেড কোচ চন্ডিকা হাধুরুসিংহে কিছুতেই সাকিবকে ছুটি দিতে চাইছিলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন কন্ডিশনে সিরিজের আগে দলের সেরা ক্রিকেটারের ছুটি মানতে পারেননি অনেকেই। তবে বোর্ডের অনিচ্ছা স্বত্বেও শেষ পর্যন্ত তিন মাসের ছুটি পান সাকিব।

২০১৮ সাল, ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা

বিসিবির অনাপত্তিপত্র নেওয়ার ব্যাপারটিকে তোয়াক্কা না করেই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। সিপিএল খেলতে যাওয়া নিয়ে তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাধুরুসিংহের সঙ্গে বাজে আচরণও করেন সাকিব। সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ছিল বলে সাকিবকে ফিরিয়ে আসতে বলে বোর্ড। জবাবে অবসর নেওয়ার হুঁমকি দেন সাকিব! সেবার কঠোর হয়েছিল বোর্ড।

সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় সব অনাপত্তিপত্র। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো কাজ করলে নিষিদ্ধ করা হবে আজীবন। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারিতে কাজ হয়নি।

২০১৯ সাল, দলীয় ফটোসেশন বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিং

২০১৯ বিশ্বকাপের দলীয় ফটোসেশনে উপস্থিত ছিলেন না সাকিব। ফটোসেশনের ঘণ্টাখানেক আগেও মিরপুর স্টেডিয়ামে ছিলেন তিনি। পরে ফটোসেশন না করেই বেরিয়ে যান। পরে জানা যায়, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে বেরিয়ে যান তিনি। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিসিবি সভাপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি পেতে হয়নি সাকিবকে।

২০১৯ সাল, ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

আইপিএল খেলার সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করেছিলেন সাকিব। তাতে আইসিসি কর্তৃক দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন, যার এক বছর ছিল স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। তবে বিষয়টিকে ‘বড় অপরাধ’ বলে সাকিবের ১ বছরের শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। কয়েকজন বিদেশি সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক সরাসরি বলেছিলেন, সাকিবের আরও বড় শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।

২০২১ সাল, শ্রীলংকা সফরে না গিয়ে আইপিএলে

শ্রীলংকা সফরে না গিয়ে আইপিএল খেলার ছুটি চেয়েছিলেন সাকিব। একই সময় শ্রীলংকার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ বলে সাকিবের ছুটি চাওয়ার বিষয়টিতে অবাক হন অনেকে। গুরুত্বপূর্ণ সেই সিরিজে সাকিবকে খুব করেই দরকার ছিল বাংলাদেশের। তবে সেখানে শেষ পর্যন্ত সাকিবেরই জয় হয়। দেশের হয়ে টেস্ট খেলা বাদ দিয়ে আইপিএল খেলতে ছুটি পান তিনি। বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, খেলতে না চাইলে কাউকে জোর করে খেলানোর কোনো মানে হয় না।

২০২১ সাল, জৈব সুরক্ষা বলয় ভঙ্গ

কোভিড পরিস্থিতিতে ক্রিকেট হচ্ছিল কড়াকড়ি নিয়মে। সাকিব সেই নিয়ম ভঙ্গ করেন। সুরক্ষা বলয়ে না থাকা এক বোলারকে নিয়ে অনুশীলন করেন। সাকিবের অনুশীলনে সাদা শার্ট পরা এক ব্যক্তিকেও দেখা যায়। তিনিও সুরক্ষা বলয়ে ছিলেন না। এতে সাকিবের দল মোহামেডান শুধু নয়, ডিপিএল খেলা সব ক্রিকেটারই কোভিড ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। কিন্তু ক্ষমা চেয়েই ওই যাত্রায় বেঁচে যান সাকিব।

২০২১ সাল, মেজাজ হারিয়ে স্টাম্পে লাথি

ডিপিএলে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত পছন্দ হয় না মোহামেডানের সাকিব আল হাসানের। মেজাজ হারিয়ে স্ট্যাম্পে লাথি মেরে দেন সাকিব। বৃষ্টি বিরতির পর খেলা শুরু হলে ফের চটে যান তিনি। দুই হাতে এক প্রান্তের তিন স্ট্যাম্প তুলে আছাড় দেন। এমন আচরণ হতভম্ব করে অনেককে। শোনা যাচ্ছিল, বড় শাস্তিই পেতে যাচ্ছেন সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ আর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানায় পার পান।

সারাবাংলা/এসএইচএস

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল সাকিব আল হাসান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০

সম্পর্কিত খবর