তাইজুলের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় সেশনেও বাংলাদেশের দাপট
৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৪
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম সেশনে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় সেশনে প্রতিরোধ গড়ে আইরিশরা তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দাপট ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশন শেষে আইরিশদের স্কোর ৬৫/৩। দ্বিতীয় সেশনে ৮০ রান দিয়ে টাইগার বোলাররা তুলে নিয়েছে তিনটি উইকেট। যার মধ্যে দুটিই উঠেছে তাইজুল ইসলামের ঝুলিতে।
চতুর্থ উইকেটে হ্যারি টেকটর অভিষেক টেস্টেই তুলে নেন অর্ধশতক। ৮০ বল পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি তিনি। তাকে বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল বেশ দূর থেকে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন টেকটর। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ১২২ বল স্থায়ী ৭৪ রানের জুটি। ৯২ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন টেক্টর।
ছয়ে ব্যাট হাতে উইকেটে এসে টিকতে পারেননি পিটার মুরও। এর আগে জিম্বাবুয়ের জার্সিতে মিরপুরেই নিজের সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন পিটার মুর। প্রায় ৫ বছর পর এবার একই মাঠে আয়ারল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ারের নতুন শুরু করলেন ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার। তবে নতুন শুরুটা হলো না সুখকর। তাইজুল ইসলামের ফুল লেংথ ডেলিভারি ক্রস ব্যাটে খেলার চেষ্টা করলে ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় আকাশে। মিড অফে দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল। ৮ বলে স্রেফ ১ রান করেন মুর।
এরপর ফেরেন উইকেটে থিতু হওয়া ক্যাম্ফারও। তাইজুলের আর্ম বল সামনের পায়ে ভর করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন আইরিশ অলরাউন্ডার। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে সামনের প্যাডে। বাংলাদেশের জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি ক্যাম্পার। আম্পায়ার্স কলের কারণে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় তাকে। ৭৩ বলে ৬ চারে ৩৪ রান। এতেই ১২৪ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে আয়ারল্যান্ডের।
৭ম উইকেটে লরকান টাকার এবং অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনি মিলে গড়েছেন প্রতিরোধ। চা-বিরতির আগে পর্যন্ত এই জুটি ব্যাট করেছে ১০ ওভার আর তুলেছে ২১ রান। লরকার ১১ আর ম্যাকব্রিনি ১০ রানে অপরাজিত থাকলে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান।
সারাবাংলা/এসএস