লা লিগা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি বার্সার
৪ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৩৬
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে লা লিগা প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের তেবাসের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। তেবাসের কঠোর নিয়মের কারণেই লিওনেল মেসিকে ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে লা লিগার রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সহ–সভাপতি হোসে নেগ্রেরিয়াকে ১৪ লাখ ইউরো প্রদানের অভিযোগ ওঠার পর বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার পদত্যাগ দাবি করেন তেবাস।
এবার পাশার দান উল্টে লা লিগার প্রেসিডেন্ট তেবাসের পদত্যাগ দাবি করল বার্সেলোনা। বার্সেলোনাকে নিয়ে স্পেনের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লা লিগা সভাপতির বিরুদ্ধে।
বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিদের অনৈতিকভাবে অর্থ প্রদান করে নিজেদের দিকে সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগের তদন্ত করতে নামে স্পেনের পাব্লিক প্রসিকিউটর অফিস। আর সেখানেই নাকি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন লা লিগা সভাপতি তেবাস। তার মিথ্যা তথ্য নিয়ে বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বার্সা।
বিবৃতিতে বার্সা বলেছে, ‘সোমবার লা ভানগার্ডিয়ায় যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, সেই তথ্য অনুযায়ী লা লিগা সভাপতি তেবাস আমাদের ক্লাবকে অভিযুক্ত করার জন্য পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। যে কারণে আমরা তেবাসকে জনসম্মুখে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। লা লিগা সভাপতির মর্যাদা এবং সম্মানের কারণে তেবাসের তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।’
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার বিপক্ষে স্প্যানিশ রেফারি কমিটির সহ-সভাপতিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্প্যানিশ দৈনিক কাদেনা সার এই অভিযোগ তুলেছে। কাদেনা সার লিখেছে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ১৩ মৌসুমে বার্সেলোনা মোট ১৪ লাখ ইউরো প্রদান করেছে। এনরিকেজ নেগরেইরাকে। ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এনরিকেজ নেগরেইরা।
কাদেনা সারের অনুষ্ঠানে জানায় ২০১৬ সালে বার্সেলোনা ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ৩২ হাজার ইউরোর বেশি অর্থ প্রদান করে। পরের বছর ৫ লাখ ৪১ হাজার ইউরো এবং ২০১৮ সালে ৩ লাখ ১৮ হাজার ইউরোর বেশি অর্থ প্রদান করে ক্লাবটি। ওই প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর অনুসন্ধান শুরু হয়। আর সেই অনুসন্ধান গড়ায় অর্থের মূল উৎস ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা পর্যন্ত।
সারাবাংলা/এসএস