ফিট থাকলে সাধারণত একজন ফুটবলার ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে পারেন সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে। তবে জাপানি ফুটবলার কাজুয়োশি মিউরা যেন সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই যাচ্ছেন। গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫৬ বছর বয়সে পা দিয়েছেন এই ফুটবলার। তবুও থামবার কোনো লক্ষণ নেই তার ভেতর। আর এই বয়সেই পর্তুগালে দ্বিতীয় বিভাগ পেশাদার লিগে অভিষেক ঘটল তার।
তবে এখনই ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হতে পারছেন না কাজুয়োশি মিউরা। কেননা উরুগুয়ের খেলোয়াড় রবার্ট কারমোনা ৬০ বছর বয়সেও এখনো ফুটবল খেলে যাচ্ছেন। গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও তার নাম উঠেছে।
ক্যারিয়ারের শুরুটা ১৯৮৬ সালে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ক্লাব সান্তোসের হয়ে। যদিও সেখানে ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি। এরপর ব্রাজিলেরই আরেক ক্লাব পালমেইরাসে খেলেছেন। তারপর জাপান ঘুরে আবারও সান্তোসে ফেরেন। সেখান থেকে জাপান ঘুরে খেলেছেন ইতালির জেনোয়ার হয়ে। ইতালি থেকে ক্রোয়েশিয়ার ডিনামো জাগরেভের হয়ে খেলে পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়।
সিডনি এফসির হয়ে খেলার পর আবারও জাপানে ফেরেন কাজুয়োশি মিউরা। এবার জাপান থেকে ধারে খেলতে গেছেন পর্তুগালের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব অলিভিয়েরেন্সের হয়ে।
পর্তুগাল লিগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে কাজুয়োশি মিউরা সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন এই লিগে। ওলিভিয়েরেন্সের হয়ে ম্যাচের ৯০তম মিনিটে অ্যাকাডেমিকো ডে ভিসেউর বিপক্ষে মাঠে নেমে এই রেকর্ড গড়েন কাজুয়োশি মিউরা। এ সময় তার বয়স ছিল ৫৬ বছর ২৪ দিন।
এটি কাজুয়োশি মিউরার ক্যারিয়ারের ৩৮তম পেশাদার ফুটবল মৌসুম। এই নিয়ে ষষ্ঠ দেশের পেশাদার লিগে খেলার রেকর্ড গড়লেন তিনি। জাপানের হয়ে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত মোট ৮৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে এশিয়া কাপ জয়ে বড় অবদান ছিল এই ফুটবলারের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫৫টি গোল করে জাপানের ইতিহসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ২০০০ সালে জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলেন তিনি।