ইংল্যান্ডে অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ মিলছে না বাংলাদেশের
৭ মে ২০২৩ ২২:১২
একদিন পর থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজটা হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে। যেখানকার কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য একদমই অপরিচিত। সেই কারণেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আগেভাগেই ইংল্যান্ড গিয়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু তামিম ইকবালরা ঠিকঠাক অনুশীলনে নামতে পারছেন কই!
সপ্তাহখানেক আগে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ইংল্যান্ডের বিমান ধরেছিল বাংলাদেশ দল। টাইগাররা অনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করেন ৩ মে থেকে। কিন্তু ব্যাট-বলের অনুশীলনের সুযোগ মিলেছে কমই।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা চেমসফোর্ডে হলেও বাংলাদেশকে অনুশীলন করতে হচ্ছে এসেক্সের দ্য লেইস ও কেমব্রিজের ফেনার্সে। অনুশীলনের জন্য এই দুই জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশ চেমসফোর্ডে যেতে পারবে ম্যাচের মাত্র একদিন আগে। কারণ সেখানে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ চলছে।
এদিকে, এসেক্সে দ্য লেইসের মতো কেমব্রিজের ফেনার্সেও চলছে বৃষ্টির বিড়ম্বনা। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও খুব ভালো নয়। গত ৫ মে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটাও এই বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। ফলে ব্যাট-বলের অনুশীলনের তেমন সুযোগ মিলছে না বাংলাদেশের। ফিটনেস ট্রেনিং করেই বেশিরভাগ সময় কাটছে ক্রিকেটারদের।
ম্যাচের একদিন আগে চেমসফোর্ডে গিয়ে সেখানে একটা অনুশীলন সেশন করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সেটাই আপাতত একমাত্র ভরসা সফরকারীদের। বিষয়গুলো নিয়ে আজ রোববার (৭ মে) সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠে হতাশাও ফুটে উঠল।
তামিম বলেছেন, ‘আমরা যদি সব সেশন ওখানে অনুশীলন করতাম, তাহলে হয়তো ব্যাপারটা অন্য রকম হতো। জিনিসগুলো আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। কারণ, ওখানে খুব সম্ভবত কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটা খেলা চলছে। এগুলো তো আমাদের কারও নিয়ন্ত্রণে নেই।’
বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘এসব জিনিস তো আসলে আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। আবহাওয়ার কারণে হয়তোবা সেরা প্রস্তুতিটা আমরা নিতে পারিনি। তবে যতটুকু সুযোগ আমরা পেয়েছি, আমরা চেষ্টা করছি যেন ভালোভাবে তৈরি হওয়া যায়। বাকিটা আমাদের মানসিকভাবে তৈরি হতে হবে।’
আগামী ৯ মে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে যথাক্রমে- ১২ ও ১৪ তারিখে। তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
সারাবাংলা/এসএইচএস