গ্যালারিতে রানার্স আপ মেডেল ছুঁড়ে মারলেন মোরিনহো
১ জুন ২০২৩ ১৪:৪৭
কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর পর সেভিয়ার বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ফাইনালে মাঠে নামার আগে মোট পাঁচটি ফাইনাল খেলেছেন জোসে মোরিনহো। যার মধ্যে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও ছিল আর সবকটিতেই জিতে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ছিল মোরিনহোর। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফাইনালে এসে হারের মুখ দেখতে হলো মোরিনহোকে। ইউরোপা লিগের ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী আয়াজন শেষে নিজের রানার্স আপ পদক তিনি গ্যালারিতে ছুঁড়ে দেন। আর বলেন, এই পদকের প্রতি কোনো অনুরাগ তার নেই।
জোসে মোরিনহোর অধীনে কনফারেন্স লিগ জয়ের পর সুযোগ ছিল রোমাকে ইউরোপা লিগ জেতানোর সুযোগ। সেভিয়ার বিপক্ষে এগিয়েও গিয়ে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হারতে হয়েছে মোরিনহোর দলকে। আর তাতেই সেভিয়ার ঘরে উঠেছে ইউরোপা লিগের সাত নম্বর শিরোপা। হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় বুধবার রাতের ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-১ গোলে জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলের পর অতিরিক্ত সময়ও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয়।
এর আগে ৬ বার ইউরোপা লিগের ফাইনালে খেলে প্রতিটিতেই জয় ছিল সেভিয়ার। শতভাগ সাফল্যের সেই ধারা ধরে রেখে এবার তারা করল ‘সাতে সাত’। পাঁচটি ইউরোপিয়ান ফাইনাল জয়ের পর থেমে গেল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে মরিনহোর অপরাজেয় যাত্রা।
আর তাই তো নিজের ষষ্ঠ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে হেরে মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি স্পেশাল ওয়ান। ম্যাচ শেষে মুভিস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোরিনহো বলেন, ‘হ্যাঁ! এটাই আমি করেছি। সিলভার মেডেলের কোনো প্রয়োজন নেই আমার। এটি আমি চাই না। রানার্স আপ পদক নিজের কাছে রাখি না। এজন্যই দিয়ে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমরা অবসন্ন, মানসিকভাবে নিঃশেষিত। আমাদের মৃতপ্রায় লাগছে, কারণ বিতর্কিত অনেক ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত এই পরাজয় আমাদের কাছে অন্যায্য মনে হচ্ছে। আমরা ক্লান্ত, তবে গর্বিত। আমি সবসময়ই বলি, একটা ফুটবল ম্যাচ হারা যায়, কিন্তু মর্যাদা ও পেশাদারীত্ব হারানো যায় না। এই ম্যাচ হেরেছি কিন্তু যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গর্ব নিয়ে ঘরে ফিরব। এই মৌসুমে ছেলেরা নিজেদের শতভাগ ঢেলে দিয়েছে।’
সারাবাংলা/এসএস