অভিমানে হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তা নিয়ে তুলকালাম উঠেছিল দেশের ক্রিকেটে। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবসর ভেঙে ফিরে আসেন তামিম। মাশরাফি বিন মুর্তজাই তামিমকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাশরাফি জানালেন, সেদিন হতাশ, বিধ্বস্ত তামিমকে দেখে রীতিমতো আশ্চর্য হয়েছিলেন তিনি।
মাশরাফি বিন মুর্তজা তামিম ইকবালকে চিনেন সেই ছোট্টটি থেকে। একটা সময় মাশরাফির সঙ্গে জাতীয় দলে খেলতেন তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস ইকবাল। মাশরাফির তখন তামিমদের বাড়িতে ছিল নিয়মিত যাতায়াত। সেই সূত্রে তামিমের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। পরে তামিমও হয়েছেন মাশরাফির জাতীয় দলের সতীর্থ। দীর্ঘদিন শুধু সতীর্থ নয়, জাতীয় দলে তামিমের মেন্টরও ছিলেন মাশরাফি।
কিন্তু যে তামিমকে তিনি চিনতেন অবসরের সময়টাতে দেখেছেন তার উল্টোটা। মাশরাফি বলেন, সেই সময় তামিমকে দেখেছেন হতাশ, বিধ্বস্ত, ভেঙে পড়া এক যুবক।
বুধবার (২৬ জুলাই) ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাশরাফি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় দলের সাবেক সফল অধিনায়ক বলেন, ‘তামিমের ওপর দিয়ে কী গিয়েছে, তামিম ঠিক ততটা আমার সঙ্গে শেয়ার করেনি। তবে আমি সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছি তামিমকে দুর্বল দেখে। ও একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, ওর পক্ষেও অনেকে কথা বলেছে। সাধারণভাবে তামিম এটুকু লড়াই করতে পারবে না, তা আমার কাছে মনে হয়নি। তবে কখনো কখনো মানুষ ভেঙে পড়ে, তখন মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হয়।’
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ফিরে এলেও তামিমকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। চর্চা হচ্ছে তার পিঠের ইনজুরি নিয়ে। মাশরাফি মনে করছেন পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে তবেই ফেরা উচিত তামিমের।
মাশরাফি বলেন, ‘এখন যে জিনিসটা হচ্ছে, ওর ইনজুরি ওকে ভোগাচ্ছে। তামিম পারফর্ম করছে না, কেন করছে না? তার কারণ হচ্ছে ইনজুরি। তাহলে কী করা উচিত? ওর ইনজুরিটা ঠিক করে আসা উচিত। ওর এখন উচিত, ইনজুরি নিয়ে চিন্তা করা। ফিট হয়ে এলে আমি নিশ্চিত ও অটোমেটিক রান করবে আর আগের পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে।’