Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফিটনেস পরীক্ষায় সবার সেরা শান্ত

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৩ আগস্ট ২০২৩ ১৭:২৯

আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য অনুশীলন ক্যাম্প করছেন ক্রিকেটাররা। ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে আজ শেষ হলো তিন দিনের ফিটনেস ক্যাম্প। ফিটনেস পরীক্ষায় সবার সেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। দুপুরে আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের পরীক্ষা নিয়েছেন জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি। সব মিলিয়ে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন ২১-২২ জন ক্রিকেটার।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ইয়ো ইয়ো পরীক্ষার স্কোর ধরা হয়েছিল ১৮.৬। সবার চেয়ে সেরা স্কোর হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর। তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটার স্কোর করেছেন ১৯.৫। তরুণ পেসার তানজিম হাসান স্কোর করেছেন ১৯.৩। বাকিরাও খারাপ করেননি। ১৭ থেকে ১৮ মতো স্কোর তুলেছেন বেশিরভাগ ক্রিকেটার।

দুই দফা পরীক্ষার পর ট্রেনার নিক লি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গত ৩-৪ দিন আমরা ক্রিকেটারদের কিছু স্ক্রিনিং করেছি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের দুই মাস আগে এখনই (ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে) সত্যিকারের শেষ সুযোগ, কিছু তথ্য পাওয়ার। পাশাপাশি বিশ্বকাপের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত করার জন্য ট্রেনিংয়ে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে সেটিও দেখার শেষ সুযোগ। প্রথম দিন মেডিকেল টিম কিছু ডায়াগনস্টিক করেছে যেমন রক্ত পরীক্ষা, চক্ষু পরীক্ষা, হার্ট স্ক্যান। পরের দুই দিন স্বাভাবিক স্ক্রিনিং করেছেন ফিজিও। ক্রিকেটারদের শরীরে কোনো অসামঞ্জস্য আছে কি না দেখার চেষ্টা করেছি।’

শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে ক্রিকেটারদের আবার ফিটনেস টেস্ট হতে পারে তেমন আভাস দিয়ে রাখলেন নিক লি। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা এই টেস্টিংয়ের পারফরম্যান্স সাইডে নজর দিয়েছি। যেখানে গতি, পাওয়ার, দিক পরিবর্তন, কিছু বডি কম্পোজিশনের পর ইনজার্ন টেস্ট দিয়ে শেষ করেছি। আবহাওয়ার কারণে সুযোগ-সুবিধা আমাদের হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ইয়ো ইয়ো টেস্ট ব্যবহার করেছি। যেখানে বিরতি দিয়ে রিপিট শাটল রাউন্ড হয়েছে। টেস্ট যত সামনে এগিয়েছে, তত দ্রুত করতে হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

‘গরম ও কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে এবং তাদের গত কয়েক সপ্তাহ বিরতি ছিল, সব কিছু মিলিয়ে আমি তাদের (ইয়ো ইয়ো টেস্টের) জন্য খুশি। ক্যাম্প যতটা সামনে এগোবে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে আমরা হয়তো তাদের উন্নতি দেখার জন্য আবার টেস্ট করব। তো এই তো, গত কয়েক দিন এসবই করছি আমরা।’- যোগ করেন তিনি।

আগেই জানানো হয়েছিল যে এই টেস্ট এমন কিছু না যে পাস করতে না পারলে দলে সুযোগ মিলবে না। এটা শুধুই ক্রিকেটারদের বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন। আজ নিক লি আবারও স্মরণ করিয়ে দিলেন সেটা।

বলেছেন, ‘তথ্য-উপাত্তের দিকে না তাকিয়ে, আমার মাথায় যা আছে তা থেকে বলতে পারি, সবার (টেস্টের) পারফরম্যান্স প্রায় একই রকম ছিল। এখানে এমন ক্রিকেটারও ছিল যারা সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের আশপাশে ছিল না অথবা ইনজুরিতে ছিল অথবা দলের বাইরে ছিল। তাদের কিছুটা কম ছিল। তবে সব মিলিয়ে কেউই কম গতিতে ছিল না। সবাই মোটামুটি একই ব্রাকেটে ছিল।’

‘এই টেস্টিং দলে সুযোগ পাওয়া বা বাদ পড়ার কোনো অংশ নয়। এটি স্রেফ আমার, ফিজিও, মেডিকেল টিম, নির্বাচক, প্রধান কোচের বোঝার জন্য যে ক্রিকেটাররা কোন অবস্থায় আছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের নিয়ে কেমন কাজ করতে হবে। কারও হয়তো অনেক ভালো স্কিল থাকতে পারে, তবে ফিটনেসের দিক থেকে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তারা স্কিল ট্রেনিং কিছুটা কমিয়ে ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। যারা ফিজিক্যালি অনেক ফিট, তারা বেশি স্কিল ওয়ার্ক করতে পারে। তো এটি মূলত আমাদের তথ্য দেবে যে, আমরা আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের অনুশীলন কীভাবে সাজাব।’- যোগ করেন তিনি।

সারাবাংলা/এসএইচএস

ফিটনেস পরীক্ষা বিসিবি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর