সাকিব ভাই নাকি অন্য কেউ এসব নিয়ে ভাবিইনি: হৃদয়
৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:২০
লংকান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) গিয়ে নজর কেড়েছেন তৌহিদ হৃদয়। জাফনা কিংসের হয়ে ৬টি ম্যাচ খেলার জন্য গিয়েছিলেন হৃদয়। ৬ ম্যাচে ১৩৫.৯৬ স্ট্রাইক রেট ও ৩৮.৭৫ গড়ে রান করেছেন ১৫৫। বাংলাদেশি তরুণের ভয়ডরহীন ব্যাটিং মনোযোগ কেড়েছে অনেকের। লংকান লিগে খেলছেন বাংলাদেশের অপর ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও। একটা ম্যাচে সাকিবের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। দেশে ফিরে শোনালেন সেই অভিজ্ঞতার কথা।
৬ ম্যাচের চুক্তিতে হৃদয়কে দলে নিয়েছিল জাফনা কিংস। ৬ ম্যাচ শেষ হওয়াতে আজ দেশে ফিরেছেন হৃদয়। গত ৫ আগস্ট সাকিবের দল গল টাইটান্সের মুখোমুখি হয়েছিল হৃদয়ের দল জাফনা। ম্যাচে দুর্দান্ত ২৩ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেছিলেন হৃদয়। সাকিবকে এক ওভারেই হাঁকিয়েছিলেন চার-ছয়।
দেশে ফিরে হৃদয় বললেন ব্যাটিংয়ের সময় প্রতিপক্ষ হিসেবে সাকিবে আছেন নাকি অন্য কেউ এসব ভাবেন না তিনি। নিজের শক্তিতে আস্থা রেখেই ব্যাটিং করেন।
বুধবার (৯ আগস্ট) দেশে ফিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হৃদয় বলছিলেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, পাওয়ার প্লেতে; পরিস্থিতি ডিমান্ড করছিল রানের দরকার। আমিও চেষ্টা করেছি যে বল টু বল কীভাবে রান করা যায়। সাকিব ভাই আছে বা আরও বড় কেউ আছে এরকম কখনোই আমার মাথায় কাজ করে না। আমি সবসময় নিজের স্ট্রেন্থে থাকার চেষ্টা করি। সবসময় চাই আমি যে জায়গায় কমফোর্ট, ওখানে থাকার জন্য।’
‘সাকিব ভাই তো অনেক অভিজ্ঞ বোলার। আর সেদিন উইকেটে বল একটু টার্ন করছিল। একটা জিনিস আমি দেখেছি, টি-টোয়েন্টিতে স্লো বা এত আস্তে বল উনি করে না স্বভাবত। ওইদিন উনি অনেক আস্তে বল করছিলেন। তখন বুঝতে পারছিলাম উনি কতটা অভিজ্ঞ। আস্তে বল ওই উইকেটে মারা যাচ্ছিল না। আমি যে বলটা মেরেছি, ওটা অনেক দূরে পড়েছে। ওই বল যদি আমি না পারতাম বা ডিফেন্স করতে যেতাম, আউট হওয়ার সুযোগ বেশি ছিল। এজন্য চেষ্টা করেছি ডু অর ডাই।’
সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত স্লো বলে হৃদয়ের ছক্কা হাঁকানোটা চোখে লেগে আছে অনেকের। হৃদয়ের ওই শট নিয়ে কৌতুহলী ছিলেন নাকি তার সতীর্থরাও! দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার সেই শট নিয়ে বারবার জিজ্ঞেসা করেছেন জানালেন হৃদয়।
তিনি বলেন, ‘মিলার আমাকে বারবার এপ্রিশিয়েট করছিল ওই সময়। বিশেষ করে সাকিব ভাইকে যে ছক্কাটা মেরেছি। শুধু মিলার না, পুরো দল আমাকে বারবার বলতেছিল এটা কী শট! ওরাও জানতে চাচ্ছিল। মিলার বলতেছিল এটা শট অব দ্য ডে। ম্যাচ শেষে মিলার আমার সঙ্গে অনেক্ষণ কথাও বলেছে ব্যাটিং নিয়ে। আমার কাছে শুনেছে কীভাবে কী করি।’
মিলারের মতো বড় তারকার সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লেগেছে (ব্যাটিং করে)। ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আমিও যখন ছিলাম, মিলার যখন আসছে, আমি নিজে থেকেও চাচ্ছিলাম মিলারের সঙ্গে একটু কথা বলি। সাহস পাচ্ছিলাম না। পরে যখন দেখি ও আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তারপর চেষ্টা করেছি ওর সঙ্গে সময় কথা বলার ওর কাছ থেকে নেওয়ার।’
সারাবাংলা/এসএইচএস